রোগীদের প্রতিষেধক, সান্তনা এবং ব্যবস্থাপত্র। -৩।

 

আঠারতম প্রতিষেধকঃ
শুকরিয়া ত্যাাগ করে অভিযোগে মগ্ন হে রোগী! 
অভিযোগ অধিকার থেকে আসে। তোমার কোন অধিকার খর্ব হয় নি যে তুমি অভিযোগ করছ। তোমার শুকরিয়া আদায় করার অনেক অধিকার আছে যা তুমি করনি। আল্লাহর হক সমূহ কি তুমি আদায় করেছ? আদায় না করে অভিযোগের সুরে অধিকার দাবি করছ। তোমার চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকা কারো প্রতি তাকিয়ে অভিযোগ করতে পার না, বরং সুস্থতার দিক থেকে তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় পতিত অসহায় দের দিকে তাকিয়ে তোমার অবস্থার জন্য শুকরিয়া আদায় করো। তোমার হাত ভাঙ্গা হলে, যার হাত নেই তাকে দেখ। তোমার এক চোখ না থাকলে যে চক্ষুহীন তাকে দেখ আর আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় কর।  
নিয়ামতসমূহের ক্ষেত্রে নিজের চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে এমন কারও প্রতি লক্ষ করে কারও অভিযোগ করার অধিকার নেই। বিপদের সময় দায়িত্ব হচ্ছে , নিজের চেয়ে বেশী অসুবিধাগ্রস্থের প্রতি তাকিয়ে শুকরিয়া আদায় করা। 
এর উদাহরণ:
মনে করুন, আপনি একজন অসহায় ব্যক্তি। আপনাকে একটি মিনারের উপরে উঠান হচ্ছে। মিনারের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর আলাদা আলাদা দান ও অনুগ্রহ আছে। সর্বোচ্চ ধাপে আছে সবচেয়ে ভালো উপহার। আপনি যে ধাপেই যান - কিছু না কিছু দান ও অনুগ্রহ পাবেন। এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবেন। কিন্তু আপনি যদি হন জেদী ব্যক্তি তবে শুকরিয়া না আদায় করে উপরের চূড়ার দিকে তাকিয়ে থাকবেন। আপনি অভিযােগ করবেন মিনারটা আরো উঁচু হলো না কেন? যে আচরণ আল্লাহর প্রতি আপনার অকৃতজ্ঞতা এবং জুলুমের পরিচয় বহন করে। 
একজন মানুষ যেভাবে শূণ্য থেকে অন্তিত্বে এসে পাথর, গাছ কিংবা পশু না হয়ে মানুষ হয়েছে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবার সুযোগ পেয়েছে, সুস্বাস্থ্য ও সবলতার সাথে আল্লাহর সুমহান নিয়ামত পেয়েছে -  তার জন্য কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে সে ধৈর্যহীনতার পরিচয় দিয়েছে। 
’হায় আমি কি করলাম যে! কেন আমি এটার মুখোমুখি হলাম ‘ - বলার অর্থ আল্লাহর রবুবিয়্যাতকে অস্বীকার করা। এটা শারীরিক অসুস্থতা থেকেও বড় আধ্যাত্মিক অসুস্থতা। আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ধৈর্য ধারণ করুক যাতে করে অসুস্থতা তার দায়িত্ব পালন করে চলে যেতে পারে। 

উনিশতম প্রতিষেধকঃ

সব সৃষ্টির মাঝে সবচেয়ে মনোরম, সুন্দর ও বৃহৎ সামাদিয়াত ও অমুখাপেক্ষিতার আয়না হচ্ছে ‘জীবন’। সুন্দরের আয়না নিজেও সুন্দর। ঐ সুন্দর থেকে আয়নায় যাই আসুক না কেন তা যেমন সুন্দর, তেমনি জীবনের নিকট যা আসে তাও সত্যিকার অর্থেই সুন্দর। কারণ যে সুন্দর সে ঐ আসমাউল হুসনার মত সুন্দর নকশাগুলোকে তুলে ধরে। 
সুস্থতা ও সবলতার দিক থেকে সর্বদা একই সরলরেখার উপর চললে তা এক অপরিপূর্ণ আয়নায় পরিণত হয়। নিঃশেষতা, শূন্যতা এবং অর্থহীনতাকে জাগিয়ে তুলে তাকে কষ্ট দেয়। জীবনের মূল্যকে কমিয়ে দেয় । জীবনের স্বাদকে বিস্বাদে পরিণত করে। নিজ সময়কে দ্রুত পার করার জন্য  উদ্বিগ্নতা থেকে নিজেকে হয় অবৈধ ভোগ বিলাসে অথবা ফূর্তিতে জড়িয়ে ফেলে। মূল্যবান জীবনের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে জেলখানার সময় মত সময়কে দ্রুত পার করে নিয়ে যায়। 
একজন অতি ধনী, কর্মহীন ও আরামের বিছানায় অবস্থানকারীকে জিজ্ঞাসা কর “কেমন আছ”? অবশ্যই আক্ষেপের সুরে বলবে “মোটেও সময় পার হচ্ছে না, আস খেলার ব্যবস্থা করি কিংবা সময় কাটানোর জন্য আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা করি। অথবা এমন হতে পারে তার কাছ থেকে “আমার এ জিনিসটা নেই, বা যদি ঐ কাজটি করতে পারতাম বলে “ অভিযোগ শুনতে পাবে। 
আবার তুমি যদি মুসিবতগ্রস্ত এক শ্রমিককে জিজ্ঞাসা কর , “কি অবস্থা তোমার? বুদ্ধিমান হলে সে বলবে , “আমার রবের শুকরিয়া, আমি ভাল আছি, কাজের মধ্যে আছি। দিনটা যদি তাড়াতাড়ি না চলে যেত। এই কাজটা যদি আজকের মধ্যে শেষ করতাম। অথবা বলবে, সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। জীবন থেমে থাকছে না। কেটে যাচ্ছে কোন মতে। এটা ঠিক এখন আমার কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু সেটা এক সময় শেষ হবে। 
এই ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিকতা আছে। আধ্যাত্মিক থেকে জীবন সত্যিকার অর্থে কত মূল্যবান। তা চলে যাওয়ার বেদনা দ্বারা জানাচ্ছে। 
সোজা কথায় কষ্ট ও শ্রমের দ্বারা জীবনের স্বাদ ও হায়াতের মূল্যকে সে ব্যক্তি অনুধাবন করছে। অপরদিকে আরাম ও সুস্বাস্থ্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে দ্রুত অতিবাহিত হোক এমন কামনাই করে। 
হে অসুস্থ ভাই! মনে রেখ যে, মুসিবত, মন্দ কিছু এমন কি গুনাহর আসল রূপ ও পরিচয় হচ্ছে শূন্যতা।  শূন্যতা হচ্ছে মন্দ ও অন্ধকার। সর্বদা আরাম, নিশ্চুপতা, স্থিরতা, অচলতার মত অবস্থা হলো শূন্যতা ও অর্থহীনতা। এই শূন্যতা অন্ধকারকেই ফুটিয়ে তোলে। 
কর্মশীলতা ও অস্তিত্বশীলতাই হচ্ছে জীবন যা প্রাণের অস্তিত্ব বহন করে। অস্তিত্ব আসল নূর ও কল্যাণ। 

বিশতম প্রতিষেধকঃ

রোগ থেকে আরোগ্য লাখে উদগ্রীব হে রোগী! 
রোগীর অসুস্থতা দুধরণের। - এক অংশ বাস্তবিক আরেক অংশ কাল্পনিক। 
বাস্তবিক রোগসমূহ: মহান আল্লাহ এই ভূপৃষ্ঠকে বিশাল এক ঔষধালয় হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। এখানে সব ধরণের রোগের ঔষধের ব্যবস্থা আছে। ঔষধ যেমন  আছে তার সাথে অসুস্থতাও আছে। মহান আল্লাহ প্রত্যেক রোগের জন্য আলাদা মুক্তির উপায় বলেছেন। চিকিৎসার জন্য এসব ঔষধ ব্যবহার করা জায়েয। কিন্তু সে সাথে আমাদের মনে রাখা দরকার ঔষধের কার্যকারিতা এবং রোগীর সুস্থতা আল্লাহর উপর নির্ভর করে। আসলে অসুস্থতা যেমন আল্লাহ দিয়েছেন,. সুস্থতাও আল্লাহ দিয়েছেন।   
একজন দ্বীনদার চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা উচিত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঔষধের অপব্যবহার, অসুস্থতা, অপরিমিত ভোগ, অপব্যয়, ভুল-ত্রুটি, ভোগ-বিলাস এবং অসাবধানতার কারণে হয়ে থাকে। যদি অপব্যবহার ও অপব্যয় থেকে বিরত থাকা যায় এবং সান্তনাবাণী অনুযায়ী চলা যায় তবে অসুস্থতা অনেক কমে আসে। কষ্টের পরিবর্তে শান্তি লাভ করা যায়।  কাল্পনিক রোগসমূহ: 
এর হাত থেকে মুক্তি পাবার সবচেয়ে সফল ঔষধ হচ্ছে একে কোন গুরুত্ব না দেয়া। গুরুত্ব দিলে বড় হয়। না দিলে ছিন্ন-বিছিন্নহয়ে যায়। যেমন মৌমাছিকে ধাওয়া করলে তা কামড় দেয়। আর না দিলে ভুলে যায়। না কামড়ে চলে যায়। 
কল্পনা প্রসূত অসুস্থতা চলতে থাকলে তা এক সময় প্রকৃত রোগে পরিণত হগয়। যেমন - অতিমাত্রায় সন্দেহ প্রবণ মন এবং উগ্র মেজাজ মানুষের জন্য খারাপ রোগ যা তিলকে তাল করে। এর ফলে মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তি হ্রাস পায়। বিশেস করে এ ধরণের রোগীরা যদি হাতুড়ে ডাক্তার কিংবা ইনসাফ বিহীন চিকিৎসকের পাল্লায় পড়ে তবে ফতুর হয়ে যায়। 

একুশতম প্রতিষেধক: 

হে অসুস্থ ভাই! 
তোমার শারিরীক অসুস্থতা আছে আবার সে কষ্টের সাথে কষ্ট দূর করার আধ্যাত্মিক স্বাদও ঘিরে আছে। যদি তোমার বাবা-মা, ভাই-বোন থাকে তারা তোমাকে মায়া মমতা দিয়ে ঘিরে রাখে। শিশুকালে যে ভালবাসা তুমি পেয়েছিলে তা বড় হয়েও পেতে পার। তোমার অসুস্থতার কারণে আবার শিশুকালে যে সুমিষ্ট ভালবাসা পেয়েছিলে তা জেগে ওঠে। তোমার প্রতি যে ভালবাসা ছিল তা অসুস্থতার আকর্ষণে আবার জেগে ওঠে। যখন তোমার প্রতি সবাই স্নেহ মমতার দৃষ্টিতে তাকায় তোমার কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। 
যাদের তুমি গর্বের সাথে খেদমত করেছ তারা তোমার দিকে দয়ার্দ্র দৃষ্টিতে তাকানোর ফলে তোমার অসুস্থতা অনেকখানি হ্রাস পায়। এই যে উপরে যে নেয়ামতের কথা বললাম তা যেন তোমাকে আল্লাহর শুকরিয়ার দিকে ধাবিত করে।   

বাইশতম প্রতিষেধক:

পক্ষাঘাতের মত কঠিন রোগে আক্রান্ত হে ভাই! 
মুমিনের পক্ষাঘাত রোগ মুবারক রোগ হিসাবে ধরা হয়। আল্রাহর ওলীগণ আল্লাহর গভীর নৈকট্য লাভ, বড় বড় আধ্যাত্মিক মুসিবত থেকে মুক্তি ও শান্তি বজায় রাখর জন্য দুটো বিষয়কে স্বেচ্ছায় অনুসরণ করেছে। 
প্রথমত: হচ্ছে মৃত্যুর বন্ধন অর্থ্যাৎ দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী এবং নিজেকেও দায়িত্বের এক ক্ষণস্থায়ী মুসাফির হিসাবে মনে করা।  
দ্বিতীয়ত: নাফসে আম্মারা ও অন্ধ অনুভূতি থেকে উদ্ভুত বিপদসমূহ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কষ্ট, ভোগ ও রিয়াযতের দ্বারা নাফসে আম্মারাকে হত্যা করার চেষ্টা করা।
দেহের অর্ধেক অবশ হয়ে যাওয়া ভাইয়েরা! তুমি না চাইলেও সংক্ষিপ্ত, সহজ ও শান্তির উসিলা হিসাবে দুটি জিনিস আল্লাহ তোমাকে প্রদান করছেন। এক হল তোমার শারিরীক অবস্থা তোমাকে সারাক্ষণ দুনিয়াতে তোমার নশ্বরতা এবং ক্ষণ স্থায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। 
দুনিয়া তোমাকে শ্বাসরুদ্ধ করতে পারছে না, ঘাফেলত ও উদাসীনতা তোমাকে অন্ধ করতে পারছে না। 
তোমর নফসে আম্মারা অর্ধ মানুষ হিসাবেগণ্য ব্রক্তিকে নোংরা খাযেশ এবং নফসের চাহিদার দিকে প্ররোচিত করতে পারে না। 
ফলে তুমি নফসে মুসিবত থেকে শীঘ্র  মুক্তি পাবে। তুমি যদি মুমিন হও । একজন মুমিন ঈমানের গভীর মর্ম, আত্মসমর্পণ এবং তাওয়াক্কুলের দ্বারা পক্ষাঘাতের মত কঠিন রোগ থেকে খুব অল্প সময়ে আওলিয়াদের মত লাভবান হতে পার। 

তেইশতম প্রতিষেধক: 

হে নিঃসঙ্গ, অসহায় ও উপায়হীন রোগী: 
অসুস্থতার পাশাপাশি নিঃসঙ্গতা আকর্ষন করে। এই নিঃসঙ্গতা কঠিন অন্তকরণের অধিকারীকেও ব্যথিত করে তুলে। অন্যের মমতাকে আকর্ষণ করতে চায়। আমরা যখন কুরআন পড়ি তখন প্রত্যেক সূরার প্রথমে “রাহমানুর রাহীম” পড়ে নেই। আল্লাহ নিজেকে রাহমানুর রাহীম হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। মহান আল্লাহ মমতাময়ী মায়ের মত রহমত দিয়ে আমাদের লালন পালন করেন। আমরা যদি ঈমানের দ্বারা তার সাথে সংযোগ ও তাঁকে জেনে অসুস্থতা থেকে উদ্ভুত ভাষায় তার নিকট দোয়া চাই তবে তাঁর রহমতের দৃষ্টি তোমার প্রতি অবশ্যই আকৃষ্ট করবে। যেহেতু তিনি আছেন, সেহেতু তোমার যত্ন তিনি করবেন। সত্যিকার প্রবাসী ও নিঃসঙ্গ হল সে ,যে ঈমান ও আত্মসমপর্ণের দ্বারা আল্লাহর সাথে সংযোগ গড়ে তুলে নাকি একে গুরুত্ব দেয় না।  যেহেতু তিনি আছেন সেহেতু তোমার যত্ন তিনি করবেন। সত্যিকারের নিঃসঙ্গ হল সে, যে ঈমান ও আত্মসমপর্ণের দ্বারা আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে না বা একে গুরুত্ব দেয় না। 

চব্বিশতম প্রতিষেধকঃ

নিষ্পাপ শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খেদমতের নিয়োজিত হে পরিচর্যাকারীগণ!
এদের জন্য আখেরাতে খুব লাভজনক ব্যবসা আছে।আগ্রহ ও প্রচেষ্টা দ্বারা সে ব্যবসায় সফলতা অর্জন কর।
প্রথমে শিশুদের কথা। শিশুদের রোগ হচ্ছে ভবিষ্যত দুনিয়ার দুঃখ-কষ্টের সংগ্রামে বিজয়ী হবার প্রতিষেধক টীকা। সে সাথে সাথে গুনাহ মাফের ওসিলা দিয়ে জীবনে রূহানী এবং নির্মল জীবন লাভের উপায়। শিশুর অসুস্থতা থেকে আসা সওয়াব বাবা ও মায়ের আমলনামা, বিশেষ করে গভীর মমতায় শিশুর সুস্থতাকে নিজের সুস্থতার উপর স্থান প্রদানকারী মায়ের আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হয়। আউলিয়ারাও এর সাক্ষ্য দেবেন। 
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খেদমত করার মাধ্যমে বিশাল সওয়াব অর্জনের পাশাপাশি বয়স্কদের দোয়া পাওয়া  সুনির্দিষ্ট। বাবা ও মায়ের দোয়া এবং এবং তাদের অন্তরকে খুশী রাখা এবং নিষ্ঠার সাথে তাদের খেদমত করা দুনিয়া  ও আখিরাতে শান্তির ওসিলা। আমরা বাস্তবে অনেক প্রমাণ দেখতে পাই, বৃদ্ধ বাবা-মার অনুগত সন্তান নিজ সন্তানের কাছ থেকে সেরকম সম্মান পায়। এর যে পিতামাতাকে কষ্ট দেয় সে দুর্ভাগা সন্তান আখেরী আযাবের পাশাপাশি দুনিয়াতেও বহু মুসিবতের দ্বারা শাস্তি পায়। 
মনে রাখওেত হবে, বৃদ্ধ ও মানুষ শিশুদের খেদমত শুধু আত্মীয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইসলামের অন্যতম শর্ত হচ্ছে সম্মানিত অসুস্থ বৃদ্ধ যদি ঈমানদার হয়, ঈমানের রহস্য অনুযায়ী প্রকৃত ভ্রাতৃত্ব আছে এবং ঐ বৃদ্ধরা তার মুখাপেক্ষী তার খেদমত করা অবশ্য পালনীয়। 

পঁচিশতম প্রতিষেধকঃ

হে অসুস্থ ভাইয়েরা!
যদি তোমরা অতি লাভজনক এবং সব সমস্যা সমাধানকারী সুস্বাদু প্রতিষেধক চাও , তবে তোমার ঈমানকে মজবুত কর। তওবা ও ইসতেগফার এবং নামায ও ইবাদতের মাধ্যমে পবিত্র প্রতিষেধক ঈমান ব্যবহার কর এবং তা থেকে উদ্ভুত ঔষধসমূহকে ব্যবহার কর। 
আসলে চিন্তা করে দেখুন, দুনিয়ার প্রতি মহব্বত ও সম্পর্কের কারণে যে গাফলত ও উদাসীনতায় নিমজ্জিতদের দুনিয়ার মতো বিশাল, রুগ্ন দেহ রয়েছে। 
ফরযসমূহ যথাসম্ভব আদায় করার মাধ্যমে ঈমান নামক ঔষধের উপকারিতা দেখা যায়। এই ঔষধের বাধা হয়ে দাঁড়ায় গাফলত, নিষিদ্ধ ভোগবিলাস, নাফসের খায়েশ ও অবৈধ আনন্দ। 
 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url