সূরা কাহফ। রুকু ৪ । গুহাবাসীদের অবশিষ্টাংশ।
কুরআন পড়ুন, বুঝে পড়ুন
নিজে জানুন, অন্যকে বলুন।
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু
সূরা কাহফ। রুকু ৪
২৩ নং আয়াত:
---------------------------------------------------------------------------------------------------
২৩. আর কখনোই তুমি কোন বিষয়ে বলো না আমি তা আগামীকাল করব।
---------------------------------------------------------------------------------------------------
২৪ নং আয়াত::
---------------------------------------------------------------------------------------------------
(২৪). এ (কথা বলা ) ছাড়া যে, যদি আল্লাহর ইচ্ছা (সাহায্য ) করেন; যদি ভুলে যাও তবে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর এবং বলো (দোয়া কর) সম্ভবত আমার প্রতিপালক আমার এ কাজে সয়ল হওয়ার নিখুঁত অবস্থানটির নিকটতর কোন অবস্থানে পৌঁছার পথ দেখাবেন। {যদি ভুলে যাও তবে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ করো এবং তার নিকট দোয়া কর – হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাে এ কাজে সফল হওয়ার নিখুঁত অবস্থানটির নিকটতর কোন অবস্থানে পৌঁছানোর পথ দেখান।}
---------------------------------------------------------------------------------------------------
- অতীতের অজানা বিষয় নিয়ে তর্ক করতে নিষেধ করার সূত্র ধরে ভবিষ্যতের বিষয় নিয়ে মতামত ও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে নিষেধ করেছে।
- মানুষ যা পরিকল্পনা করে আল্লাহ তার বিপরীত পরিকল্পনা করেন। যদি আল্লাহ সাহায্য করেন তবেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
- আর আল্লাহর ইচ্ছা যদি পরিকল্পনার বিপরীতে হয় তবে হতাশার কিছু নেই। কারণ সব কিছুই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।
- মানুষকে চিন্তা ও পরিকল্পনা করতে হবে কিন্তু সে সাথে সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। সন্তুষ্টচিত্তে ওস্থির মনে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
- একজন মুসলিম কখনো চিন্তা ও পরিকল্পনা করার সময় একাকীত্ব কোধ করবে না।
- কোন মানুষ যদি আল্লাহর এই নির্দেশ ভুলে যায় তবে সে তাড়াতাড়ি আল্লাহকে স্মরণ করবে্
২৫ নং আয়াত:
----------------------------------------------------------------------------------------------------
২৫. আর তারা তাদের গুহায় ছিল তিন শত বছর এবং তারা (আহলে কিতাব) বৃদ্ধি করেছে নয় বছর।
----------------------------------------------------------------------------------------------------
- গুহাবাসীদের ব্যাপারে শেষ কথা।
২৬ নং আয়াত ::
----------------------------------------------------------------------------------------------------
২৬. তুমি বল, তারা কতকাল ছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন; আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই; তিনি কতই না সুন্দর স্রষ্টা ও কতই না সুন্দর শ্রোতা; তিনি ছাড়া তাদের অন্য কোন অভিভাবক নেই; আর কাউকে তিনি নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।
----------------------------------------------------------------------------------------------------
- মহান আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী সম্পর্কে অদৃশ্য জ্ঞান রাখেন।
- তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ দ্রষ্টা ও শ্রোতা। ।
- তিনি এক ও অদ্বিতীয়।
- তাঁর কোন শরীক নেই।
[ এক. যেসব তরুণদের কথা এখানে বলা হয়েছে তারা কেউ নবী-রসুল ছিলেন না। তারা ছিলেন সবাই সমাজকর্মী বা সমাজ পরিবর্তনকারী। সে কারণেই তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন “হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করেন।“
দুই. এখানে কোন বয়স্ক যুবক, পুরুষ বা বৃদ্ধ ব্যক্তির কথা বলা হয় নি। আয়াতের ভাষ্যমতে কিছু অবিবাহিত তরুণ। যাদের বয়স কম।
তিন. এখানে একক কোন ব্যক্তির কথা বলা হয় নি। সঙ্ঘবদ্ধ তরুণের কথা বলা হয়েছে।
এখন আসুন ঘটনাটির আলোকে আমাদের সমাজের সাথে মিলিয়ে নেই।
সাধারণত ধর্মের ব্যাপারে তরুণরা অনেক আশাবাদী হয়ে থাকে। তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সমাজ পরিবর্তন করতে চায়। এটাই তরুণের স্বভাব এবং এটি অত্যন্ত ভাল কাজ।
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন দুই ধরণের প্রান্তিক মানুষেরা তরুণদেরকে দুটো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়।
বর্তমান সমাজে দেখা যায় এক দল মুরুব্বী তরুণদের বলে সংঘবদ্ধতা পরিত্যাগ কর। একা একা চল।
আরেক দল বলে ধর্মহীন এই বেহায়া সমাজকে আজই পরিবর্তন করতে হবে। বোমা মেরে উড়িয়ে দাও।
কিন্তু আল্লাহ আমাদের যা শিক্ষা দিচ্ছেন তা উপরের দুটি মতেরই বিপরীত।
আল্লাহ ২৭-৩০ নং আয়াতে পথ দেখাচ্ছেন কিভাবে সমাজের ফেতনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এক. সমাজে চতুর্দিকে যখন ফিতনার ছড়াছড়ি থাকবে এবং ঈমান টিকিয়ে রাখা কষ্ট তখন প্রথমেই য়ুবকদের কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে। কুরআন থেকে দিক নির্দেশনা নিতে হবে যেমন আসহাবে কাহফের যুবকেরা আল্লাহর কাছে দিক নির্দেশনা চেয়েছিল। আয়াত ১০, ২৭।
দুই. সমাজের বিভিন্ন ফিতনা যেমন একদিনে তৈরী হয় নি তেমনি একদিনে সমাজকে পরিবতর্ন করা সম্ভব নয়। ধৈর্য সহকারে এবং কৌশলে এই ফিতনা দূর করা উচিত। তরুণদের ৩০৯ বছর গুহাতে রেখে ধৈর্যের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ঘটনাটির বিবরণ শেষ করে মহান আল্লাগ রসুল (সঃ) ও আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন “আপনি ধৈর্য ধারণ করুন।“
তিন. সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাস করাতে ইসলাম উত্সাহ দেয় না। নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত সবই সংঘবদ্ধ ভাবে হয়।
এখন প্রশ্ন হল : আল্লাহতায়ালা কেন ঐ তরুণদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে গুহায় নিয়ে গেল। কারণ তাদের সংঘবদ্ধ হবার জন্য। ঐ তরুণের একই সমাজে বাস করলেও তারা সংঘবদ্ধ হতে পারছিল না।
এই ঘটনার বিবরণ শেষ করে মহান আল্লাহ এরপর যে আয়াত নাযিল করেন তাতে বলা হচ্ছে :সমাজের খারাপ মানুষদের থেকে বের হয়ে ভালো মানুষদের সাথে সংঘবদ্ধভাবে আলাদা জীবন যাপন করতে।
“২৮ নং আয়াত:
----------------------------------------------------------------------------------------------------
(২৮) আর তুমি নিজেকে তাদের সাথে (থাকা অবস্থায়) ধৈর্য সহকারে রাখবে যারা সকাল সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে তাঁকে ডাকে এবং তুমি পার্থিব জীবনের চাকচিক্য কামনা করে তাদের দিক থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিওনা; তুমি তাঁর আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমি (অতাত্ক্ষণিকভাবে) আমার স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিয়েছি ও যে তার খেয়াল খুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমালংঘন করে।“
----------------------------------------------------------------------------------------------------
২৭ থেকে ৩১ তম আয়াতে কুরানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আখেরাতে মুক্তি অর্জনের বিষয়টি আবার আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিলেন। যেমনিভাবে শুরুতে সামরণ করিয়েছিলেন।
২৭ নং আয়াত
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
২৭নং আয়াত: তোমার রবের কিতাব থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে , তা মানুষের সামনে) পাঠ করো। আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করার কেউ নেই। তুমি কখনো তাকে ছাড়া আশ্রয়স্থল পাবে না।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
- কুরান পাঠ করার উপর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
- আখেরাতে মুক্তি পেতে হরে কুরান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।
- কুরান পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
[ইসলামী আকীদা ও আদশ্যভিত্তিক মূল্যবোধের বিবরণ: (২৮ – ৪৬)
আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে পার্থিব ধন-সম্পদ, অর্থ, সম্পতি্দ, পদমর্যাদা, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কোন গুরুত্ব নেই। কারণ এগুলি নশ্বর ও কৃত্তিম সম্পদ। তাই বলে এ সবের মধ্যে যা কিছু পবিত্র তা ইসলাম নিষেধ করে না। কিন্তু এগুলো মানুষের জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। যত খুশী ভোগ কর কিন্তু তা হওয়া চাই আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে। কিভাবে? আল্লাহ নির্দেশিত জাকাত ও দান-খয়রাতের মাধ্যমে। আর সত্কাজ করে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। ]
২৮ ও ২৯ নং আয়াত ইসলামের প্রকৃত সম্পদ ও মূল্যবোধ কি?
২৮ নং আযাত :
----------------------------------------------------------------------------------------------------
(২৮) আর তুমি নিজেকে তাদের সাথে (থাকা অবস্থায়) ধৈর্য সহকারে রাখবে যারা সকাল সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে তাঁকে ডাকে এবং তুমি পার্থিব জীবনের চাকচিক্য কামনা করে তাদের দিক থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিওনা; তুমি তাঁর আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমি (অতাত্ক্ষণিকভাবে) আমার স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিয়েছি ও যে তার খেয়াল খুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমালংঘন করে। (তুমি তার আনুগত্য করো না যার অন্তর আমার তৈরী প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী আমার স্মরণ থেকে উদাসীন হয়ে গিয়েছে ও যে তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমালংঘন করে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
- নিষ্ঠার সাথে ধৈর্য সহকারে আল্লাহর আনুগত্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
- আল্লাহ ভক্ত ও অনুগত বান্দামদর সাথে থাকবে।
- আল্লাহর ভক্ত ও অনুগত বান্দারা সকাল সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ডাকে।
- আল্লাহ তাদের সথে থাকতে বলেছেন যারা তাদের সমগ্র জীবন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ব্যয় করে।
- দরিদ্র নিষ্ঠাবান মোমেনদের কম গুরুত্ব দিয়ে ভোগবিলাসী লোকদের ভোগের উপকরণের দিকে ঝুঁকে পড়তে নিষেধ করেছেন।
- আল্লাহ তার আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন যার অন্তরকে তিনি তাঁর স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিয়েছেন।
- কাফেরের মন আল্লাহ থেকে গাফেল থাকে এবং তারা তাদের খেয়ালখুশীর অনুসারী হয়ে থাকে।
- তারা তাদের কার্যকলাপ সীমালংঘন করে।
[শানে নযুল: কুরাইশ সর্দাররা আল্লাহর উপর ইমান আনার শর্ত হিসাবে রসুল (সঃ) এর কাছে যে সব দরিদ্র মুসলমানরা আসে তাদের তাড়িয়ে দিতে বলেন নাহয় আল্লাদাভাবে বসার আহ্বান জানান। কারণ দরিদ্রদের গা থেকে দুর্গন্ধ আসে। আরো বর্ণিত আছে যে রসুল (সঃ) কুরায়েশ সর্দারদের প্রতি খুবই আগ্রহান্বিত ছিলেন এবং তিনি কুরায়েশদের দাবী মেনে নেবার চিন্তা করেন। এ অবস্থায় মহান আল্লাহ ২৮ ও ২৯ নং আয়ত দুটি নাযিল করেন। ]
২৯ নং আয়াত :
----------------------------------------------------------------------------------------------------
(২৯) আর বল, এ সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এসেছে; সুতরাং যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যার ইচ্ছা প্রত্যাভ্যান করুক; আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি আগুন যার লেলিহান শিখা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে; তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর মত পানীয় যা তাদের মুখমন্ডলকে দগ্ধ করবে; কত নিকৃষ্ট পানীয়; আর কত নিকৃষ্ট সে আশ্রয়স্থল।
----------------------------------------------------------------------------------------------------
- আল্লাহর কাছ থেকে সত্য এসেছে।
- ইসলাম গ্রহণের জন্য কাউকে তোষমোদি করার দরকার নেই।
- কাফেরদের দোজখের শাস্তির জন্য তৈরী থাকতে হবে।
৩০ নং আয়াত :
----------------------------------------------------------------------------------------------------
৩০. নিশ্চয় যারা ইমান আনে ও সত্কাজ করে, যে সুন্দরভাবে কাজ সম্পাদন করে আমি নিশ্চয় তার কর্মফল নষ্ট করি না।
----------------------------------------------------------------------------------------------------
- ইমানদার ও সত্কর্মষীল ব্যক্তির কর্মফল আল্লাহ নষ্ট করেন না।
- আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করবেন।
- তাদের ক্ষুদ্রতম সত্কাজকে পুরস্কৃত করবেন। কণামাত্র হারিয়ে যেতে দিবেন না।
- মহান আল্লাহর করুণায় ধীরে ধীরে কামনা-বাসনার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন ও আধ্মাত্মিক সমৃদ্ধি লাভ করবেন।
৩১ নং আয়াত ::
----------------------------------------------------------------------------------------------------
৩১. তাদের জন্য আছে স্থায়ী জান্নাত যার নীচ দিয়ে নদ-নদী প্রবাহিত, সেখানে তাদেরকে স্বর্ণের চূড়িতে অলংকৃত করা হবে এবং তারা সূব্ষ্ম ও পুরু রেশেমের সবুজ পোশাক পরিধান করবে ও সেখানে তারা সুউচ্চ আসনে হেলান দিয়ে বসবে, কত সুন্দর পুরষ্কার ও উত্তম আশ্রয়স্থল।
--------------------------------------------------------------------------------------------------
- ইমানদার ও সত্কর্মষীল ব্যক্তিরা জান্নাতে যাবে।
- পবিত্র কুরআনে বেহেশতের ধারণাকে সুখ-শান্তি ও আরাম আয়েশের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বেহেশতের সুখ শান্তি আমাদের ধারণার বাইরে। তাই আমাদের পৃথিবীর জীবনের সুখ-শান্তি, প্রাচুর্য ও আরাম আয়েশের বর্ণনা দিয়ে মানুষকে বেহেশতের স্বাদ বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে সবুজ রয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সজীবতার প্রতীক।
কাহিনীর শিক্ষা:
· তওহীদকে মেনে নেয়া মানুষের সৃষ্টিগত স্বভাব।
· তওহীদ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
· মূর্তিপূজা বা অন্যান্য দেব দেবীর কোন প্রমাণ নেই।
· প্রয়োজনে সত্য গোপন করা জায়েয। কিন্তু তা সব সময়ের জন্য না।
· সাহসের সাথে তওহীদের বাণী প্রচার করা উচিত।
· নিজ দেশে যদি ধর্ম পালন না করা যায় তবে হিজরত করা যাবে্
· আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্যের সৃষ্টি আল্লাহর বড় িনিদর্শন।
· বিপদাপদে আল্লাহর উপর ভরসা করা ও তার দয়া কামনা করা জরুরী।
· প্রমাণ ছাড়া কোন মতবাদ, মাজহাব ও আমল পালন না করে আগে দলীল বের করা জরুরী।
· আল্লাহ তাঁর বান্দার খেদমতের জন্য তার বড় বড় সৃষ্টিকে বাধ্য করেন।
· আমরা সাধারণত দেখা যায় নিজের বাড়ীর মায়া কিছুতে ছাড়তে পারি না। অথচ সেখানে আমাদের আল্লাহকে ডাকতে অসুবিধা হয়। কিন্তু গুহাবাসী যুবকরা তা করেছে।
· নিশ্চয়ই সেই সমাজে যুবকদের এক বিরাট প্রভাব ছিল। সেজন্য তখনকার সম্রাট তাদের মারতে চেয়েছে।
· আল্লাহর জন্য যদি কেউ ত্যাগ করে তবে আল্লাহ তার মাধ্যমে মিরাকল ঘটান।
· শরীর সচল রাখতে পার্শ্বদেশ পরিবর্তন করলেন।
· চিন্তা ও গবেষণা করে কুরআন ও কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো অধ্যায়ন করা উচিত।
· ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে হলে ‘ইনশাল্লাহ বলতে হবে।
· বিনা প্রয়োজনে মতভেদ করার ফ্দরকার নেই।
· প্রতিকূল পরিবেশে সত্যের উপর অবিচল থাকা জরুরী।
মূল শিক্ষা: সমাজের বিভিন্ন ফিতনা থেকে বাঁচতে হলে ভাল মানুষগুলোকে খারাপ মানুষের ফিতনা থেকে বের হয়ে নিজেরা নিজেরা একসাথে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করতে হয়। এতে পার্থিব জগতের চাকচিক্য কম থাকলেও প্রশান্ত মনে জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।
সমাজ পরিবর্তন করতে হলে ধর্মহীন সমাজকে ভেঙ্গে দেয়ার চাইতে উচিত কুরআনের সাহায্য ধৈর্য ধরে নিজের মত করে একটি ভালো সমাজ গড়ে তোলা।