সূরা ইউনুস । রুকু ৮। হযরত মূসা (আঃ) ও নূহ (আঃ)
নিজে জানুন , অন্যকে বলুন।
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লঅহর নামে শুরু।
সূরা ইউনুস। রুকু - ৮।
আয়াত ৭১- ৮২
শিরোনাম: হযরত নূহ (আঃ) ও হযরত মূসা (আঃ)
৭১ নং আয়াত: নূহ (আঃ) এর দাওয়াত।
---------------------------------------------------------------------------------
(৭১) উহাদেরকে নূহএর বৃত্তান্ত শোনাও। সে তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, 'হে আমার সম্প্রদায়! আমার অবস্থিতি ও আল্লাহর নিদর্শন দ্বারা আমার উপদেশ দান তোমাদের নিকট যদি দুঃসহ হয় তবে আমি তা আল্লাহর উপর নির্ভর করি। তোমরা যাহাদেরকে শরীক করিয়াছ তৎসহ তোমাদের কর্তব্য স্থির করিয়া নাও, পরে যেন কর্তব্য বিষয়ে তোমাদের কোন সংশয় না থাকে। আমার সম্বন্ধে তোমাদের কর্ম নিস্পন্ন করিয়া ফেল এবং আমাকে অবকাশ দিও না।
---------------------------------------------------------------------------------
হযরত নূহ (আঃ) একনিষ্ঠভাবে তাঁর সম্প্রদায়কে আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দাওয়াত দিয়েছেন।
তিনি দীর্ঘদিন মানুষের মধ্যে অবস্থান করেন।
কিন্তু অল্প সংখ্যক মানুষ তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে।
নূহ (আঃ) তার সম্প্রদায়ের লোকদের আাল্লাহর আদেশ সম্পর্কে যে সচেতন করতে আহ্বান জানাতেন তা তাদের কাছে অসহ্য লাগত।
এই ঘটনার উল্লেখ করে এখানে আল্লাহ ইশানদারদের বলছেন ঐশী সাহায্যর উপর বিশ্বাস রাখা উচিত।
নূহ (আঃ) একক ও শরীকবিহীন আল্লাহর উপর নির্ভর করেছিলেন।
যদিও নূহ (আঃ) এর সম্প্রদায়ের লোকেরা সম্মিলিতভাবে নূহ (আঃ) এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল এবং শহীদ করতে চেয়েছিল।
নূহ (আঃ) বিচলিত হন নি। কারণ তার ভরসা ছিল আল্লাহর উপর।
শিক্ষণীয়: অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং জয় লাভের স্থির লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। জীবনের লক্ষ্য ও গন্তব্য যদি স্থির থাকে তবে তাকে কোন কিছু এমনকি তাকে যদি শাহাদাত বরণ করতে হয় তাতেও সে লক্ষ্য বিচ্যূত হয় না।
নূহ (আঃ) তাদের মধ্যে ধর্ম প্রচার করেন তারা ছিল অত্যন্ত মন্দ এবং দুষ্ট।
নূহর ধর্মকে প্রতিহত করতে চেষ্টা করে।
নূহ (আঃ) ভয়কে জয় করে আল্লাহর বাণী প্রচার করেন।
আল্লাহ তােঁকে ভয়াবহ বন্যা থেকে রক্ষা করেন।
আল্লাহর উপর যারা নির্ভরশীল তাদের রক্ষাকর্তা স্বয়ং আল্লাহ।
আল্লাহর কাজে নূহ (আঃ)এর মত অকুতোভয় হওয়া প্রয়োজন।
৭২ নং আয়াত: নূহ (আঃ) কর্মফল চান নি।
---------------------------------------------------------------------------------
(৭২) 'অতঃপর তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইলে লইতে পার, তোমাদের নিকট আমি তো কোন পারিশ্রমিক চাই নাই, আমার পারিশ্রমিক আছে আল্লাহর নিকট, আমি তো আত্মসমর্বণকারীদের অন্তর্ভূক্ত হইতে আদিষ্ট হইয়াছি।'
---------------------------------------------------------------------------------
নূহর সম্প্রদায় তাঁর উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
অথচ নূহ (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে কোন পারিশ্রমিক আশা করেন নি এবং এর জন্য তাঁর কোন আফসোস ছিল না।
কারণ তিনি জানতেন তার পারিশ্রমিক আল্লাহ দিবেন। কারণ তাঁর ও্রয়ায-নসীহত ছিল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
পার্থিব ভোগ সম্পদের কোন চাহিদা তাঁর মনে ছিল না।
মহান আল্লাহ তাঁকে আত্মসমর্পণকারী হবার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
শিক্ষণীয়: যুগে যুগে সত্য পথের পথিকরা মন্দ ও দুষ্ট লোকের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে থাকে।
৭৩ নং আয়াত: নূহ (আঃ) এর সতর্কবাণী অস্বীকারকারীদের ধংস।
-------------------------------------------------------------------------------
(৭৩) আর উহারা উহাকে মিথ্যাবাদী বলে; অতঃপর তাহাকে ও তাহার সঙ্গে যাহারা তরণীতে ছিল তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং তাহাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করি ও যাহারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল তাহাদেরকে নিমজ্জিত করি। সুতরাং দেখ, যাহাদেরকে সতর্ক করা হইয়াছিল তাহাদের পরিণাম কি হইয়াছিল।
--------------------------------------------------------------------------------
ঐশী শাস্তি হিসাবে মহাপ্রলয়কে ইংগিত করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ নূহ (আঃ) এবং তাঁর সাথে যারা নেীকায় ছিল তাদের উদ্ধার করেন।
যারা নূহ (আঃ)কে অস্বীকার করে তাদের নিমজ্জিত করে দেন।
যারা নৌকায় স্থান পেয়েছিল তারা বেঁচে যান এবং আল্লাহ তাদের পুনর্বাসিত করেন।
পরবর্তীতে তাদের থেকেই মানুষের বিস্তার লাভ ঘটে।
যারা আল্লাহর রাসুলের সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছেন তারা ধ্বংস হয়েছেন।
৭৪ ও ৭৫ নং আয়াত: সত্য ও কল্যাণের পথ প্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ।
-------------------------------------------------------------------------
(৭৪) অনন্তর তারপরে আমি রাসুলগণকে প্রেরণ করি, তাহাদের সম্প্রদায়ের নিকট; তাহারা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিয়াছিল। কিন্তু উহারা পূর্বে যাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল তাহার প্রতি ঈমান আনিবার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এইভাবে আমি সীমালংঘনকারীদের হৃদয় মোহর করিয়া দেই।
---------------------------------------------------------------------------------
(৭৫) পরে আমার নিদর্শনসহ মূসা ও হারূনকে ফিরআউন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট প্রেরণ করি। কিন্তু উহারা অহংকার করে এবং উহারা ছিল অপরাধি সম্প্রদায়।
-------------------------------------------------------------------------
আল্লাহ মানুষকে সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
আবার আরেকদিকে আমরা বলতে পারি মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার যোগ্যতা দিয়েছেন।
প্রত্যেক জাতির কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ রাসুল এসেছিল।
জালিম সম্প্রদায় আল্লাহর করুণাকে উপেক্ষা করে।
তারা আল্লাহর নির্দেশে অলেীকিক কাজ সম্পাদন করতে পারতেন।
তারপরেও তারা ইমান না এনে জিদ করে পাপাচারে লিপ্ত থাকত।
আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন। ফলে তারা আর বুঝতে পারে না।
হযরত মূসা (আঃ) কে তার ভাই হারূন সহ ফেরাউনের কাছে পাঠানো হয় ।
কিন্তু ফেরাউন তওহীদের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে।
ফেরাউনের অহংকার এবং আত্মরম্ভিতা এত বেশী ছিল সে সত্যের বাণী গ্রহণ করতে পারে নি।
শিক্ষণীয়: মহান আল্লাহ চেয়েছেন মানুষ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে স্বাধীনভাবে তার পথ নির্বাচন করুক। কিন্তু যারা পাপী তারা পাপের পথ ত্যাগ করতে অপারগ। সত্যকে গোপন করে এবং নবীকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
পূণ্যাত্মা লোক মন্দ ব্যক্তিদেে দ্বারা অত্যাচারিত হবেই।
৭৬ নং আয়াত:: নবীদের প্রতি জাদুর অপবাদ।
-------------------------------------------------------------------------
(৭৬) অতঃপর যখন উহাদের নিকট আমার নিকট হইতে সত্য আসিল তখন উহারা বলিল, 'ইহা তো নিশ্চয়ই স্পষ্ট জাদু।'
-------------------------------------------------------------------------
(৭৭) মূসা বলিল, 'সত্য যখন তোমাদের নিকট আসিল তখন তত্সম্পর্কে তোমরা এইরূপ বলিতেছ? ইহা কি জাদু? জাদুকরেরাতো সফলকাম হয় না।'
-------------------------------------------------------------------------
প্রকৃত সত্য এবং যাদু এক অপরের বিপরীত।
জাদু মিথ্যা ও প্রতারণার উপর প্রতিষ্ঠিত।
জাদু ক্ষণস্থায়ী।
অবিশ্বাসীরা নবী-রাসুলদের জাদুর অপবাদ দেয়া হয়েছিল।
তাদের প্রচেষ্টা ছিল নবীদের ধোঁকাবাজ হিসাবে প্রমাণ করা।
ফেরআউনও হযরত মূসা (আঃ)কে সমাজের বড় জাদুকরদের সথে মোকাবিলা করে ধেঁাকাবাজ হিসাবে প্রমান করতে চেষ্টা করে।
বর্তমান বাস্তব জীবনে তাই দেখা যায়। পাপাচারী অবিশ্বাসী ব্যক্তিরা ভালো ও সত্য মানুষকে নানা অপবাদ দিয়ে জর্জরিত করছে।
বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের।
৭৮ নং আয়াত: পিতৃপুরুষের অন্ধ অনুসরণ
--------------------------------------------------------------------------------
(৭৮) উহারা বলিল,'আমরা আমাদের পিতৃপুরুষগণকে যাহাতে পাইয়াছি তুমি কি তাহা হইতে আমাদেরকে বিচ্যুত করিবার জন্য আমাদের নিকট আসিয়াছ এবং যাহাতে দেশে তোমাদের দুইজনের প্রতিপত্তি হয়, এইজন্য ? আমরা তোমাদের প্রতি বিশ্বাসী নই।'’
--------------------------------------------------------------------------------
সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা অত্যন্ত গোড়াঁ।
এই গোঁড়ামী হতে কিছুতেই তাদের মুক্ত করা যাবে না।
তারা পূর্বপুরুষদের ধ্যান-ধারণা নিয়ে থাকে।
তারা কুসংস্কার ও অন্ধ অনুসরণ করে।
৭৯ নং আয়াত:: ফেরাউনের পরাজয়।
-------------------------------------------------------------------------
(৭৯) ফিরআউন বলিল, 'তোমরা আমার নিকট সকল সুদক্ষ জাদুকরকে লইয়া আস।'
-------------------------------------------------------------------------
(৮০) অতঃপর যখন জাদুকরেরা আসিল তখন উহাদেরকে মূসা বলিল, 'তোমাদের যাহা নিক্ষেপ করিবার, নিক্ষেপ কর।
-------------------------------------------------------------------------
ফেরাউন হযরত মূসা (আঃ) এর সাথে যুক্তি তর্কে জিততে পারেনি।
মূসা (আঃ) এর মুজেজার সাথে মোকাবেলা করার জন্য বড় জাদুকরদের ডেকে পাঠান।
ঈমান ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান মূসা (আঃ) তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শন করেন এবং জাদুগরদের হারিয়ে দেন।
৮১ ও ৮২ নং আয়াত: ‘ ফেসাদী জাদুকরদের জাদু বানচাল।
-------------------------------------------------------------------------
(৮১) অতঃপর যখন তাহারা নিক্ষেপ করিল তখন মূসা বলিল, 'তোমরা যাহা আনিয়াছ তাহা জাদু, নিশ্চয়ই আল্লাহ উহাকে অসার করিয়া দিবেন। আল্লাহ অবশ্যই অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কর্ম সার্থক করেন না।
-------------------------------------------------------------------------
(৮২) অপরাধীরা অপ্রীতিকর মনে করিলেও আল্লাহ তাঁহার বাণী অনুযায়ী সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করিবেন।
-------------------------------------------------------------------------
আল্লাহ ফেসাদী জাদুকরদের জাদু ব্যর্থ করে দেন।
ঐশীশক্তির কাছে কোন শক্তি দাঁড়াতে পারে না।
মুজেযার মোকাবেলা জাদু দ্বারা সম্ভব নয়।
মূসা (আঃ) ক্ষমতার পিছনে আল্লাহর ক্ষমতা নিহিত ছিল।
ফাসাদকারীদের কাজকে আল্লাহ সুষ্ঠ ভাবে সুসম্পন্ন হতে দেন না।
আল্লাহতায়ালা তাঁর আদেশক্রমে সত্য প্রতিষ্ঠিত করেন।
সত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়াকে অপরাধীরা সর্বদা অপছন্দ করে।
আমার অনুধাবন:
উদ্দেশ্য:
এই রুকুতে রাসুল (সঃ)কে সান্তনা দেবার জন্য পূর্বকালের ইতিহাস উল্লেখ করে কাফের ও মুশরেকদের সতর্ক করা হয়েছে।
মূল আলোচ্য বিষয় ৩ টি :
১. নূহ (আঃ) ও তাঁর সম্পদায়। (৭১-৭৩)
২. সত্য ও কল্যাণের পথ প্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ। (৭৪)
৩. মূসা (আঃ),হারুন, ফেরাউন ও জাদুকর এবং অল্প কিছু যুবক যারা মূসা (আঃ) কে বিশ্বাস করেছিল। (৭৫ -৮২)
১. নূহ (আঃ) ও তাঁর সম্প্রদায়। (৭১-৭৩)
অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে নূহ (আঃ) এর মত আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং জয় লাভের স্থির লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। এর জন্য এমনকি তাকে যদি শাহাদাত বরণ করতে হয় তাতেও সে লক্ষ্য বিচ্যূত করা ডাবে না।
নূহ (আঃ) এর জীবনী থেকে শিক্ষা যে আল্লাহর উপর যারা নির্ভরশীল তাদের রক্ষাকর্তা স্বয়ং আল্লাহ।
বিশেষ করে আল্লাহর কাজে নূহ (আঃ)এর মত অকুতোভয় হওয়া প্রয়োজন।
২. সত্য ও কল্যাণের পথ প্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ। (৭৪)
- আল্লাহ মানুষকে সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
প্রত্যেক জাতির কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ রাসুল এসেছিল।
কিন্তু জালিম সম্প্রদায়ের লোকেরা আল্লাহর করুণাকে উপেক্ষা করে। তারা ইমান না এনে জিদ করে পাপাচারে লিপ্ত থাকত।
ফলে আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন। ফলে তারা আর তাদের অন্যায় বুঝতে পারে না।
আসলে মহান আল্লাহ চেয়েছেন মানুষ সতর্কবাণী শুনে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে স্বাধীনভাবে তার সঠিক পথ নির্বাচন করুক। কিন্তু যারা পাপী তারা পাপের পথ ত্যাগ করতে অপারগ।নবীদের মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
৩.মূসা (আঃ),হারুন, ফেরাউন ও জাদুকর এবং অল্প কিছু যুবক যারা মূসা (আঃ) কে বিশ্বাস করেছিল। (৭৫ -৮২)
- পূণ্যাত্মা লোক মন্দ ব্যক্তিদের দ্বারা অত্যাচারিত হবেই।
হযরত মূসা (আঃ) কে তার ভাই হারূন সহ ফেরাউনের কাছে পাঠানো হয় । কিন্তু ফেরাউন তওহীদের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে।
ফেরাউনের অহংকার এবং আত্মরম্ভিতা এত বেশী ছিল সে সত্যের বাণী গ্রহণ করতে পারে নি।
মূসা (আঃ) এর মোজেযাকে জাদুর অপবাদ দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য এবং জাদু এক অপরের বিপরীত।
জাদু মিথ্যা ও প্রতারণার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং ক্ষণস্থায়ী
তাদের প্রচেষ্টা ছিল নবীদের ধোঁকাবাজ হিসাবে প্রমাণ করা।
যা বর্তমান বাস্তব জীবনেও তাই দেখা যায়। পাপাচারী অবিশ্বাসী ব্যক্তিরা ভালো ও সত্য মানুষকে নানা অপবাদ দিয়ে জর্জরিত করছে।বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের।
ঈমান ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান মূসা (আঃ) তাঁর মোজেযা প্রদর্শন করেন এবং ফেসাদী জাদুগরদের জাদু বানচাল করে তাদেরকে হারিয়ে দেন।
ফাসাদকারীদের কাজকে আল্লাহ সুষ্ঠ ভাবে সুসম্পন্ন হতে দেন না।