বার্ধক্যে বিক্ষিপ্ত চিন্তা। বদ দোয়া
বার্ধক্যে বিক্ষিপ্ত ভাবনা: বদ দোয়া
কি বলব? প্রথমেই ভাবছি আমাদের 'মনের বাঘ খায়।" এমনিতে সারাক্ষণ যৌবন ক্ষয়ের রিক্ততা এবং শারিরীক অক্ষমতায় হাপিত্যেশ করে সময় কাটে। তারপর ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক খারাপ আবেগীয় প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আপনজনদের রূঢ় আচরণে ব্যথিত হওয়া তো আছেই, সে সাথে ভাল কথাও বিষের মত মনে হয়। আমাদের চিন্তা, চেতনা বা কথায় নৈরাশ্যের সুরটাই বাজে বেশী। মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা, কথা ও চিন্তা মনে একধরণের ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যা প্রিয়জনকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। এর একটি প্রধান কারণ ‘বদদোয়া’ করা। মনক্ষুুন্ন হয়ে বলি ‘আল্লাহ তোর বিচার করবে।
এই বদ দোয়াটা কি? আর কিুছুই না। কোন ব্যক্তির অমঙ্গল বা অনিষ্ট চেয়ে প্রার্থনা করাই হচ্ছে বদ দোয়া বা অকল্যাণ কামনা করা। আরবীতে একটি শব্দ আছে -লা'নত । যার অর্থ রহমত ও দয়া থেকে দূর করে দেয়া। বাংলায় এর প্রতিশব্দ অভিশাপ। আমরা সাধারণত বলি বদদোয়া।
মানুষ যেমন উত্তম বস্তু আন্বেষণ করতে তাড়াহুড়ো করে তেমনি শাস্তি অন্বেষণে তাড়াহুড়ো করে। তারা নবীদের চ্যালেঞ্জ করে, তোমরা যদি সত্যি নবী হও তবে শাস্তি আনয়ন কর। যা দিয়ে তোমরা ভীত প্রদর্শন করছ।
তাদের এই চাওয়ার উত্তরে আল্লাহ বলছেন, আমি যদি তাদের চাওয়া অনুযায়ী শাস্তি প্রেরণ করতাম তবে তাদের ধ্বংস ও মৃত্যু কবলিত হত। কিন্তু আমি তা না করে তাদের সংশোধিত হবার পূর্ণ সুযোগ দেই।
দ্বিতীয় অর্থ হতে পারে মানুষ যখন তার নিজ কল্যাণের জন্য দোয়া করে আমি তা কবুল করি।
কিন্তু মানুষ যখন রাগান্বিত থাকে বা কষ্টে থাকে তখন সে নিজের জন্য বা আপন সন্তানের জন্য বদ দোয়া করে। তাকে আমি এজন্য ছেড়ে দেই কারণ তা সে মুখে চাচ্ছে। অন্তর থেকে নয়। এখন আমি যদি মানুষের বদদোয়া অনুযায়ী ধ্বংস করা শুরু করি তবে মানুষ ধ্বং স হয়ে শেষ হয়ে যেত। ।
হাদীস" তোমরা নিজেদের উপর, নিজেদের সন্তানের উপর, ও নিজেদের সম্পদ ও কারবারের উপর বদ দোয়া করো না। এমন না হয়ে যায় তোমাদের বদ দোয়া কাজে লেগে যায়। যেমন এমন সময় দোয়া করলে যখন দোয়া কবুল হয়।
কাফেররা নবীদের চ্যালেঞ্জ করে যে তোমরা যে আযাবের ভয় দেখাও তা এক্ষুনি নিয়ে আসো।পবিত্র কুরআন এর জবাবে বলছে আল্লাহ বিচক্ষণ ও দয়ালু। তাই তিনি এটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে বলেতে গিয়ে তাদের বিপদকালীন অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।। যখন বিপদ আসে তখন সব বক্রতা দূর হয়ে যায় এবং আল্লাহকে ডাকতে থাকে। আবার যখন বিপদ কেটে যায় তখন যায় উদাসীন হয়ে।
হাদীসে আছে নবী (সঃ) বলেছেন, তোমরা একে অপরের উপর অভিসম্পাত করবে না যে, তোমার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত পতিত হোক এবং তুমি, দোজখী হও। এবং তোমাকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হোক বলে বদ দোয়া করবে না। (তিরমিযি, আবু দাউদ) ।
আমরা যদি মহানবী (এর জীবন চরিত পাঠ রে তাহলে দেখা যায় তার উপর মুনাফিকরা এত অত্যাচার করেছিল তারপরেও তিনি তাদের অভিসম্পাত করেন নি। তাদের হেদায়েতের জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন।
হযরত আবকু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী এরশাদ করেছেন, যখন বান্দা কোন কিছুর উপর অভিসম্পাত করে তখন সে অভিসম্পাত বাক্যটি আসমানের দিকে উড়ে যায় কিন্তু এর জন্য আসমানের দরজাগুলি বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর সে যমীনের দিকে ফিরে আসে। যার উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে যদি সে অভিসম্পাতের উপযোগী না হয় । অভিসম্পাত তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করে। (তিরমিযি, আবু দাউদ)
রাসুল (সঃ) এর চলার পথে কাঁটা পুতে রাখার গল্প সবাই জানেন। তাকে কখনো অভিসম্পাত করেন নি। বরং যখন সে অসুস্থ হয় তখন তাকে দেখতে যান।
হযরতের চাচা আবু জেহেল তাঁর উপর সীমাহীন অত্যাচার করেছিল । কিন্তু তিনি কখনো তাকে অভিসম্পাত করেন নি।
আমাদের সমাজে দেখা যায় মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে একান্ত আপনজনকে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কারণে আবেগতাড়িত সহয়ে বদ দোয়া করে।
সূরা কাহাফের ৪৬ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেছেন “ সম্পদ ও সন্তান পার্থি
ব জীবনের শোভা। তারা বাবা-মায়ের চোখের মণি। তাদের আনন্দ। কিন্তু কি করে তারা আবার রেগে গিয়ে তাদের অকল্যাণ কামনা করে। রসুল (সঃ) মানুষকে তার সন্তান, সম্পদ এবং তার নিজের বিরুদ্ধে অকল্যাণ কামনা করতে নিষেধ করেছেন। যেমন -আপনি হয়ত বললেন — এরকম হবার আগে আমার মরণ দিলে না কেন? এমন সময় আপনি দোয়া করছেন । হতে পারে তখন আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং করেও নিলেন তখন কি হবে? মুসলিম ৩০১৪
বাবা-মা সন্তানের জন্য যে দোয়া করে তার জবাব আল্লাহ দেন। তিনজনের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। মজলুমের দোয়া, ভ্রমণকারীর দোয়া এবং সন্তানের জন্য পিতদামাতার দোয়া। ইবনে মাজাহ।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা যৌক্তিক বা অযৌক্তিক যে কোন ব্যক্তিগত কারণে অকল্যাণ কামনা করা । অন্যের জন্য তো হতেই পারে। আবার অনেকে নিজের অকল্যাণ চেয়ে বসে। আবেগ তাড়িত হয়ে অকল্যাণ কামনা করেই তো খালাস। যে ব্যক্তি করে সে কি চিন্তা করে এর ফলাফল কি হতে পারে?
সূরা ইউনুসের ১১ নং আয়াতে এরশাদ করেছেন, " আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণ ত্বরাণ্বিত করিতেন, যেভাবে তাহারা তাহাদের কল্যাণ ত্বরাণ্বিত করিতে চায়, তবে অবশ্যই তাদের মৃত্যু ঘটিত। সুতরাং যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহাদেরকে আমি তাহাদের অবাধ্যতার উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইতে দেই।"
এই আয়াতে আল্লাহ পাপী ও অন্যায় কাজকারীদের প্রতি ইংগিত করেছেন। মানুষ সাধারণত তার কল্যাণ বা বৈষয়িক শান্তি লাভের জন্য তাড়াহুড়ো করে। কিন্তু ,মহান আল্লাহ এখানে অকল্যাণকে দ্রুত কামনা করার প্রসংগে মানুষের একটি অবস্থা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ যদি শাস্তি দানে তাড়াহুড়ো করলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত। মহান আল্লাহ মানুষকে তড়িঘড়ি করে শাস্তি দেন না। মানুষকে শুধরে নেবার জন্য সময় দেন।
একজন মুসলিম বিশ্বাস করে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। আপনি এমন সময় কারো অকল্যাণ কামনা করলেন যখন আল্লাহ দোয়া কবুল করে নিল। যার অকল্যাণ কামনা করলেন সে হতে পারে আপনার সন্তান, ছেলের বৌ কিংবা বাবা-মা। রাগের মাথায় করে বসলেন। ধরুন, আল্লাহ কবুল করে নিল। রাগের মাথায় বা দুঃখ পেয়ে যে অকল্যাণ কামনা করেছিলেন তার বাস্তবায়ন কি সহ্য করতে পারবেন? অসম্ভব।
আরেকটি কারণে আমরা প্রায়শই অকল্যাণ কামনা করি। তা হল ব্যক্তি স্বার্থ। আমরা যদি হজরত মুহাম্মদ (সঃ) জীবন পর্যালোচনা করি তবে তাকে কখনো দেখব না যে ব্যক্তি স্বার্থে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন। আপনি কোন কারণে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে বিচার চাইতে পারেন। ইসলাম নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পরিবারের কারো কোন ক্ষতি সমর্থন করে না। মনে রাখবেন নিজের সন্তান, আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা আপনার জিহ্বা থেকে রক্ষা পাবার বেশী অধিকার রাখে।
পারিবারিক জীবনে দেখা যায় সামান্য কোন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলেই একে অন্যকে বদ দোয়া করে বা অভিশাপ দেয়।অনেকেই রাগকে সংযত করতে পারে না। এরা কথায় কথায় বদ দোয়া করে। কাকে করে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। মানুষ,বাতাস, জড় বস্তু, স্বামী স্ত্রীকে আবার স্ত্রী স্বামীকে, এমনকি নিজ সন্তানকে। সন্তানের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে অনেক পিতা-মাতা বদদোয়া বা অভিশাপমূলক কথাবার্তা বলে। পরে আফসোস করে। এর ফলে নিজেই নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
সূরা বাকারার ১৫৯ আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেছেন, তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।।' তাই প্রত্যেক বাবা-মার উচিত রাগের মাথায় সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে সন্তানের অমঙ্গল কামনা না করা।
আমাদের মনে রাখতে হবে
তিরমিজির ১৯০৫ নং হাদীসে আছে "তিন ব্যক্তির দোয়া সরাসরি কবুল হয়। তারা হলেন অত্যাচার ও অবিচারের শিকার ব্যক্তি, মুসাফির ও সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা যৌক্তিক বা অযৌক্তিক যে কোন ব্যক্তিগত কারণে অকল্যাণ কামনা করা । অন্যের জন্য তো হতেই পারে। আবার অনেকে নিজের অকল্যাণ চেয়ে বসে। আবেগ তাড়িত হয়ে অকল্যাণ কামনা করেই তো খালাস। যে ব্যক্তি করে সে কি চিন্তা করে এর ফলাফল কি হতে পারে?
একজন মুসলিম বিশ্বাস করে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। আপনি এমন সময় কারো অকল্যাণ কামনা করলেন যখন আল্লাহ দোয়া কবুল করে নিল। যার অকল্যাণ কামনা করলেন সে হতে পারে আপনার সন্তান, ছেলের বৌ কিংবা বাবা-মা। রাগের মাথায় করে বসলেন। ধরুন, আল্লাহ কবুল করে নিল। রাগের মাথায় বা দুঃখ পেয়ে যে অকল্যাণ কামনা করেছিলেন তার বাস্তবায়ন কি সহ্য করতে পারবেন? অসম্ভব।
আরেকটি কারণে আমরা প্রায়শই অকল্যাণ কামনা করি। তা হল ব্যক্তি স্বার্থ। আমরা যদি হজরত মুহাম্মদ (সঃ) জীবন পর্যালোচনা করি তবে তাকে কখনো দেখব না যে ব্যক্তি স্বার্থে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন। আপনি কোন কারণে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে বিচার চাইতে পারেন। ইসলাম নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পরিবারের কারো কোন ক্ষতি সমর্থন করে না। মনে রাখবেন নিজের সন্তান, আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা আপনার জিহ্বা থেকে রক্ষা পাবার বেশী অধিকার রাখে।
পারিবারিক জীবনে দেখা যায় সামান্য কোন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলেই একে অন্যকে বদ দোয়া করে বা অভিশাপ দেয়।অনেকেই রাগকে সংযত করতে পারে না। এরা কথায় কথায় বদ দোয়া করে। কাকে করে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। মানুষ,বাতাস, জড় বস্তু, স্বামী স্ত্রীকে আবার স্ত্রী স্বামীকে, এমনকি নিজ সন্তানকে। সন্তানের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে অনেক পিতা-মাতা বদদোয়া বা অভিশাপমূলক কথাবার্তা বলে। পরে আফসোস করে। এর ফলে নিজেই নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
সেজন্য সে আবার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। এই প্রার্থনা যদি এমন সময়ে করে যখন আল্লাহ শোনেন বা দোয়া কবুল করে নেন তখন তা নিজের উপর এসেই বর্তায়। নিজের ধ্বংস নিজেই কামনা করা আর কি। সূরা বাকারার ১৫৯ আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেছেন, তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।।' তাই প্রত্যেক বাবা-মার উচিত রাগের মাথায় সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে সন্তানের অমঙ্গল কামনা না করা।
তিরমিজির ১৯০৫ নং হাদীসে আছে "তিন ব্যক্তির দোয়া সরাসরি কবুল হয়। তারা হলেন অত্যাচার ও অবিচারের শিকার ব্যক্তি, মুসাফির ও সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।
কারো জন্য বদ দোয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহ কখন, কোন ব্যক্তির প্রার্থনা কবুল করবেন, তিনি ছাড়া কেউ জানবে না।তাই মন চাইলেই বদ দোয়া করা ঠিক নয়।
এতক্ষণ তো বদ দোয়া করার কথা বললাম। আমাদের বেঁচে থাকতে হবে মযলুমের বদ দোয়া থেকে।
আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) স্বীয় আযাদকৃত গোলাম হুনীকে একটি সরকারী চারণভূমির রক্ষক নিযুক্ত করেন। তাকে নির্দেশ দেন সে যেন জনসাধারণের দিক হতে নিজের হাতকে সংকুচিত করে অর্থ্যাৎ তাদের উপর যুলুম না করে এবং মজলুম অর্থ্যাত্ অত্যাচারীতদের বদ দোয়াকে ভয় করে। কারণ আল্লাহ মযলুমের দোয়া কবুল করেন।
মহান আল্লাহ আমাদের বদ দোয়া করা থেকে বিরত থাকার তওফিক দান করুন্ সবার জন্য আমরা যেন কল্যাণ কামনা করতে পারি। আমিন।
প্রশ্ন: পিতা-মাতার বদদোয়া পাওয়া ব্যক্তির করণীয় কি?
উত্তর: তিরমিজির ১৯০৫ নং হাদীসে আছে "তিন ব্যক্তির দোয়া সরাসরি কবুল হয়। তারা হলেন অত্যাচার ও অবিচারের শিকার ব্যক্তি, মুসাফির ও সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।
কারো জন্য বদ দোয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়। অনেক সময় পিতামাতা মনের কষ্টে বদদোয়া করে ফেলতে পারেন। এটাই আমাদের সমাজের শিক্ষা যে কেউ যে কাউকে কষ্ট পেলে রেগে গিয়ে অভিশাপ দেয়।
এই বদদোয়ার হাত থেকে বাঁচার উপায় 'তওবা করা। আল্লাহতায়ালা সকল প্রকার গুনাহ থেকে তাওবা কবুল করেন।