সূরা তাওবা। রুকু ১৬ ।ওহী নাযিলের প্রেক্ষাপটে কাফির ও মুমিনদের প্রতিক্রিয়া।

  

 কুরআন পড়ুন, বুঝে পড়ুন 

নিজে জানুন, অন্যকে বলুন


দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু।
রুকু ১৬
আয়াত ১২৩ - ১২৯
ওহী নাযিলের প্রেক্ষাপটে কাফির ও মুমিনদের প্রতিক্রিয়া। 

১২৩ নং আয়াত: নিকটবর্তী  কাফিরদের সাথে আচরণের আদেশ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
(১২৩) হে মুমিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যাহারা তোমাদের নিকটবর্তী তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর এবং উহারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখিতে পায়। জানিয়া রাখ, আল্লাহ তো মুত্তাকীদের সাথে আছেন। 
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
  • তাদের সাথে যুদ্ধ করা।
  • আচরণে কঠোর হওয়া।  

১২৪ নং আয়াত: কুরআনের আয়াতের প্রতি মুনাফিক ও মুমিনদের আচরণ। 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৪) যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয় তখন উহাদের কেহ কেহ বলে, 'ইহা তোমাদের মধ্যে কাহার ইমান বৃদ্ধি করিল? যাহারা মুমিন ইহা তাহাদেরই ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারাই আনন্দিত হয়। 

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৫) এবং যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, ইহা তাহাদের কলুষের সঙ্গে আরও কলুষ যুক্ত করে এবং উহাদের মৃত্যু ঘটে কাফির অবস্থায়। 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৬) উহারা কি দেখে না যে, 'উহাদেরকে প্রতি বত্‌সর একবার বা দুইবার বিপর্যস্ত করা হয়? ইহার পরও উহারা তওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহণ করে না, 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৭) এবং যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন উহারা একে অপরের দিকে তাকায় এবং ইশারায় জিজ্ঞাসা করে ' তোমাদেরকে কেহ লক্ষ্য করিতেছে কি?' অতঃপর উহারা সরিয়া পড়ে। আল্লাহ উহাদের হৃদয়কে সত্যবিমুখ করিয়াছেন, কারণ উহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদের বোধশক্তি নাই। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কুরআনের আয়াতের প্রতি মুনাফিক ও মুমিনদের আচরণের পার্থক্য
  • কোন আয়াত নাযিল হলে মুনাফিকরা বিদ্রূপাত্মক প্রশ্ন করে এবং নাযিলকৃত আয়াতের প্রভাব তারা অনুভব করে না। তাদের ঈমানও বৃদ্ধি পায় না। তারা প্রমাণের চেষ্টা করে এই আয়াতের কোন প্রভাব তাদের উপর পড়ে নি।
  • অপরদিকে মুমিনরা কখনো এ ধরণের প্রশ্ন করে না। তারা আয়াতের প্রভাব অন্তরে অনুভব করে। তাদের ঈমানী ধক্তি বৃদ্ধি পায় এবং আনন্দিত হয়।
  • তাদের অন্তরে নাপাকি থাকায় মুনাফেকী ও ব্যধি আরো বৃদ্ধিথ পায়। অপরদিকে মুমিনদের অন্তর পবিত্র হয়।
  • তারা কাফির অবস্থায় মারা যায় এবং তওবা করার সুযোগ পায় না। অফরদিকে মুমিনরা মুমিন অবস্থায় মারা যায় এবং তাদের তাওবা আল্লাহ কবুল করেন।
  • তাদের উপস্থিতিতে আয়াত নাযিল হলে তারা পরস্পর তকাতাকি করে চুপিসারে সরে পড়ে। মহান আল্লাহ তাদের হিদায়ত বিমুখ করে দিয়েছেন । তাদের বোধশক্তিও নাই। অপরদিকে মহান আল্লাহ মুমিনদের হিদায়াত ও বোধশক্তি দিয়েছেন।

১২৮ নং আয়াত:  রাসুল (সঃ)এর সাথে তাঁর জাতির সম্পর্ক

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৮ ) অবশ্যই তোমাদের মধ্য হইতেই তোমাদের নিকট এক রাসূল আসিয়াছে। তোমাদেরকে যাহা বিপন্ন করে উহা তাহার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।  

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • মহান আল্লাহ রসুল (সঃ)কে  তাঁর জাতির মধ্য থেকে পাঠিয়েছেন। 

  • তিনি তাঁর জাতির লোকদের মঙ্গল কামনা করেন। 

  • তাঁর জাতিকে যা কষ্ট দেয় তা তাঁর জন্যও পীড়াদায়ক। ।

  • তিনি চান তাদের উপর কোন কষ্ট না আসে।  

  • মুমিনদের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু। 


আয়াত ১২৯: আল্লাহর উপর ভরসা। 

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১২৯) অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তুমি বলিও, 'আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই। আমি তাহারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি। 

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। 

  • রসুল (সঃ)  একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করেন।

  • শুধু তাঁর কাছ থেকেই সাহায্য আশা করেন।

  • তিনি হচ্ছেন  মহান আরশের মালিক। 



অনুধাবন: 

  • unchecked

     হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি ভালবাসা পোষণ করা এবং তাঁর সুখ-দুঃখের ভাড়ী হওয়া প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।   

  • unchecked

    নেক আমল শুধু কোন মসজিদ বা নির্জন স্থানে গিয়ে সালাত, কুরআন তেলওয়াত আল্লাহর জিকির করা নয়। বরং জিহাদে গিয়ে ক্ষুত্‌-পিপাসায় কাতর হওয়, কষ্ট করাও। এগুলো নেক আমল হিসাবে আল্লাহর দরবারে লিখিত হয়। ইবাদতের উদ্দেশ্যে জিহাদ থেকে দূরে থাকা ঠিক নয়।  

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url