সূরা তাওবা। রুকু-৭। মুনাফিক

কুরআন পড়ুন, বুঝে পড়ুন। 

নিজে জানুন, অন্যকে বলুন। 


 দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু

সূরা তাওবা। রুকু ৭ ।
 আয়াত ৪৩-৫৯
মুনাফিক 


আলোচ্য প্রধান বিষয় সমূহ

  1. মুনাফিক ও মুত্তাকী ।
  2. মুনাফিকদের যুদ্ধের প্রতি অনীহা। 
  3. যুদ্ধে না  যাওয়ার অনুমতি চাওয়া। 
  4. যুদ্ধের দুটি কল্যাণ- বিজয় ও শাহাদাত বরণ।
  5. মুনাফিকদের দান গ্রহণ না করার কারণ। 
  6. মুনাফিকদের অবস্থা ও রাসুল (সঃ) এর প্রতি
আয়াত অনুযায়ী আলোচ্য বিষয়

৪৩, ৪৪ ও ৪৫ নং আয়াত: মুনাফিক ও মুত্তাকী 

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৩) আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করিয়াছেন। কাহারা সত্যবাদী তাহা তোমার নিকট স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এবং কাহারা মিথ্যাবাদী তাহা না জানা পর্যন্ত তুমি কেন উহাদেরকে অব্যাহতি দিলে? 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৪) যাহারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে তাহারা নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা অব্যাহতি পাইবার প্রার্থনা তোমার নিকট করে না। আল্লাহ মুত্তাকীদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৫) তোমার নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে কেবল উহারাই যাহারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে না এবং যাহাদের চিত্ত সংশয়যুক্ত। উহারা তো আপন সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্থ।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • রসুল (সঃ) কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ সৌহার্দপূর্ণ সম্বোধন  করেছেন ‘আ’ফাল্লাহু আ’নকা (আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন।) 

  • মহান আল্লাহ রাসুল (সঃ) এর উপর নিরতিশয় সদয়। এ কথা জানিয়ে তাঁর ভুলের কথা উল্লেখ করেছেন।  

  • কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা সঠিক ভাবে চিহ্নিত না হওয়া  পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ঠিক হয় নি। 

  • মুনাফিকদের অব্যাহতি দেয়া আল্লাহ  পছন্দ করেন নি। 

  • আল্লাহ কে মুনাফিক আর কে মুত্তাকী তা ভালভাবেই জানেন। 

  • যে মুত্তাকী:

(i) সে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে 

(ii) নিজের অর্থ-সম্পদ জিহাদে উত্‌সর্গ করে দেয়। 

(iii) জিহাদে যেতে চায়। অব্যাহতি পাবার প্রার্থনা করে না।

  • যে মুনাফিক: 

(i) সে জিহাদ থেকে অব্যাহতি পাবার জন্য নানা ওজর দেখায় ।

(ii)     আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না। 

(iii)    তাদের হৃদয় থাকে সন্দেহ প্রবণ । 


৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নং আয়াত: মুনাফিকদের যুদ্ধের প্রতি অনীহা। 

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৬)উহারা বাহির হইতে চাহিলে উহারা নিশ্চয়ই ইহার জন্য প্রস্তুতির ব্যবস্থা করিত, কিন্তু উহাদের অভিযাত্রা আল্লাহর মনঃপূত ছিল না। সুতরাং তিনি উহাদেরকে বিরত রাখেন এবং উহাদেরকে বলা হয়, 'যাহারা বসিয়া আছে তাহাদের সঙ্গে বসিয়া থাক। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৭) উহারা তোমাদের সঙ্গে বাহির হইলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করিত এবং তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের মধ্যে ছুটাছুটি করিত। তোমাদের মধ্যে উহাদের জন্য কথা শুনিবার লোক আছে। আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৮) পূর্বেও উহারা ফিতনা সৃষ্টি করিতে চাহিয়াছিলএবং উহারা তোমার বহু কর্মে উলট পালট করিয়াছিল যতক্ষণ না উহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সত্য আসিল এবং আল্লাহর আদেশে বিজয়ী হইল।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


  • মুনাফিকরা জিহাদ করতে পছন্দ করে না। 

  • পছন্দ করলে তারা জিহাদের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করত।তা তারা করে নি।

  • আল্লাহ ও চাইতেন না তারা জিহাদে যাক। 

  • তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় 'যাহারা বসিয়া আছে তাদের সাথে বসিয়া থাক।'। 

  • মুনাফিকরা জিহাদে গেলে 

(i) অপকর্ম, অপপ্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হত।  

(ii) তারা যুদ্ধের কোন রকম শক্তি বৃদ্ধি করত না। 

(iii) কেবলমাত্র বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।

(iv) মুমিনদের কাজ পন্ড করার জন্য গন্ডগোলের সৃষ্টি করত।

(vi) দলের ভিতর কিছু লোক আছে যারা তাদের কথা শুনত। 

  • মহান আল্লাহ এই জালিম মুনাফিকদের সম্পর্কে ভালভাবে জানেন। 

  • এই বিভ্রান্তি বা  'খাবালা' সৃষ্টি করা তাদের পুরানো স্বভাব। এর আগেও তারা করেছিল।  

  • যুদ্ধের মাঝখানে যুদ্ধ করা বন্ধ করে চলে যেত। 

  • আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসায় মুসলমানরা রক্ষা পায়।


৪৯ ও ৫০ নং আয়াত:: যুদ্ধে না  যাওয়ার অনুমতি চাওয়া। 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৪৯) এবং উহাদের মধ্যে এমন লোক আছে যে বলে, 'আমাকে অব্যাহতি দাও এবং আমাকে ফিতনায় ফেলিও না। সাবধান! উহারাই ফিতনাতে পড়িয়া আছে। জাহান্নাম তো কাফিরদেরকে বেষ্টন করিয়াই আছে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫০) তোমার মঙ্গল হইলে তাহা উহাদেরকে পীড়া দেয় এবং তোমার বিপদ ঘটিলে উহরা বলে, 'আমরা তো পূর্বাহ্নেই  আমাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছিলাম এবং উহারা উত্‌ফুল্লা চিত্তে সরিয়া পড়ে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • তারা জিহাদ থেকে অব্যাহতি চায়। অংশগ্রহণ করতে চায় না।

  • কিছু মুনাফিক আছে যারা জিহাদকে 'ফিতনা' বলে মনে করে।

  • অথচ জিহাদে না যাওয়া এক প্রকার ফিতনা। 

  • জিহাদের মধ্যে যে কল্যাণ আছে তা তারা মানে না। 

  • জাহান্নাম এসব সত্য প্রত্যাখ্যানকারীকে বেষ্টন করে আছে। 

  • মুসলমানদের মঙ্গল হলে তারা কষ্ট অনুভব করে। 

  • বিপদে পড়লে খুশী হয়। 

  • সে সাথে তারা তাদের দূরদর্শী সতর্কতার জন্য গর্ব বোধ করে। 

  • উত্‌ফুল্ল চিত্তে তারা সরে পড়ে।    


৫১, ৫২ ও ৫৩ নং আয়াত: যুদ্ধের কল্যাণ- বিজয় ও শাহাদাত বরণ। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫১) বল, 'আমাদের জন্য আল্লাহ যাহা নির্দিষ্ট করিয়াছেন তাহা ব্যতীত আমাদের অন্য কিছু হইবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহর উপরই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত।' 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫২) বল, 'তোমরা আমাদের দুইটি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করিতেছ এবং আমরা প্রতীক্ষা করিতেছি, আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন সরাসরি নিজ পক্ষ হইতে অথবা আমাদের হস্ত দ্বারা। অত এব তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি। ' 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৩) 'তোমরা স্বেচ্ছায় ব্যয় কর অথবা অনিচ্ছায়, তোমাদের নিকট হইতে তাহা কিছুতেই গৃহীত হইবে না; তোমরা তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।' 

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • মহান আল্লাহ মানুষের জন্য যে কল্যাণ এবং অকল্যাণ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন  তার বাইরে অন্য কিছু হবে না। 

  • মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রকৃত কর্মবিধায়ক। 

  • মুমিনদের আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিত্‌। 

  • আল্লাহ প্রকৃত কর্মবিধায়ক এবং সব বিষয়ে তিনি ক্ষমতাবান।

  • এখানে দুটি কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। একটি হল বিজয় অপরটি শাহাদাত। যেটি ঘটুক দুটি কল্যাণময়। 

  • মুনাফিকদের আকাংখা মুমিনরা শাহাদাত বরণ করুক। কিন্তু তারা জানেনা মুমিনদের কাছে শাহাদাত বরণ করাও বিজয় ও গণিমতের সম্পদ পাবার মত কল্যাণ। 

  • মুনাফিকরা প্রকারান্তরে মুমিনদের কল্যাণের জন্য প্রতীক্ষা করে। 

  • মুমিনরা প্রতীক্ষা করে কখন আল্লাহ মুনাফিকদের শাস্তি দিবেন। 

  • এই শাস্তি আল্লাহ সরাসরি ভাবে দিতে পারেন আবার মুমিনদের হাত দিয়েও দেয়াতে পারেন। 

  • মুনাফিকরা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী। 

  • মুনাফিকদের ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত কোন প্রকার দান গ্রহণযোগ্য নয়। 

  • তারা দানের সওয়াব পাবে না।  


৫৪ নং আয়াত: মুনাফিকদের দান গ্রহণ না করার কারণ। 

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৪) উহাদের অর্থসাহায্য গ্রহণ করা নিষেধ হইয়াছে এইজন্য যে, উহারা আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলকে অস্বীকার করে , সালাতে শৈথিল্যর সঙ্গে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থ সাহায্য করে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অস্বীকার করে এবং তাদের প্রতি অনুগতনয়।  

  • সালাতে শৈথিল্য প্রকাশ করে। অর্থ্যাত্‌ তাদের সালাতের সাথে অন্তরের কোন যোগাযোগ নেই। 

  • দানে আন্তরিকতার অভাব।  

  • তাদের দান গ্রহণ করতে আল্লহ নিষেধ করেছেন। 


৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮, ও ৫৯ নং আয়াত: মুনাফিকদের অবস্থা ও রাসুল (সঃ) এর প্রতি অপবাদ। 

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৫) মুতরাং উহাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের যেন বিমুগ্ধ না করে, আল্লাহ তো উহার দ্বারাই উহাদেরকে পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান। উহারা কাফির থাকা অবস্থায় উহাদের আত্মা দেহ ত্যাগ করিবে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৬) উহারা আল্লাহর নামে শপথ করে যে, উহারা তোমাদেরই অন্তর্ভূক্ত, কিন্তু উহারা তোমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, বস্তুত ইহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহারা ভয় করিয়া থাকে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৭) উহারা কোন আশ্রয়স্থল, কোন গিরিগুহা অথবা কোন প্রবেশস্থল পাইলে উহার দিকে পলায়ন করিবে ক্ষিপ্রগতিতে। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৮) উহাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে সাদাকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে; অতঃপর ইহার কিছু উহাদেরকে দেওয়া হইলে উহারা পরিতুষ্ট হয়, আর ইহার কিছু উহাদেরকে না দেওয়া হইলে তত্‌ক্ষণাত্‌ উহারা বিক্ষুব্ধ হয়। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(৫৯) ভাল হইত যদি উহারা আল্লাহ ও তাঁহার রাসূল উহাদেরকে যাহা দিয়াছেন তাহাতে পরিতুষ্ট হইত এবং বলিত, 'আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, অচিরেই আল্লাহ আমাদের দিবেন নিজ করুণায় এবং তাঁহার রাসূলও; আমরা আল্লাহরই প্রতি অনুরুক্ত। 

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • মুনাফিকদের সম্পদ ও সন্তান দেখে বিভ্রম হওয়া যাবেনা।

  • মহান আল্লাহর কাছে এর কোন মূল্য  নেই। 

  • কারো বেশী সম্পদ ও সন্তান থাকলে তার প্রতি আল্লাহ প্রসন্ন এবং যার নেই তার প্রতি অপ্রসন্ন তা ভাবা যাবে না। 

  • এই সম্পদ ও সন্তানাদি দিয়ে আল্লাহ এই দুনিয়াায় তাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন। 

  • সম্পদ ও সন্তান  বিভিন্নভাবে আযাব ও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  

  • মুনাফিকরা  পার্থিব সম্পদের আকাংখায় ডুবে থাকে এবং সত্যপ্রত্যখ্যানকারী  অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। 

  • মুনাফিকরা তাদের মনের অবস্থ গোপন করে আল্লাহর নামে শপথ করে এবং  বলে তারা মুসলমানদের অর্ন্তভুক্ত । আসলে তারা অন্তর্ভুক্ত নয়। 

  • তারা ভীরু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত। 

  • তারা পাহাড়ের গুহা বা অন্য কোন গোপন আশ্রয়স্থল পেলে তারা সেখানে চলে যেত যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে। 

  • কিছু মুনাফিক আছে যারা 'সাদাকা' বণ্টন নিয়ে রাসুল (সঃ)কে অপবাদ দেয়। 

  • তারা মনে করে 'সাদাকা' বণ্টনের ব্যাপারে রাসুল (সঃ) স্বজনপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্ব করেন।

  • তারা ছিল আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর। যদি তাদের কিছু দেয়া হয় তখন আর তাদের ইনসাফের কথা ভুলে যায়।   

  • আল্লাহ ও রাসুলের দানে পরিতুষ্ট থাকা বিশ্বাসীদের কর্তব্য।

  • আল্লাহর রাসুল আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কখনো কিছু করেন না। 

  • বিশ্বাসীদের মনে রাখতে হবে রাসুলের সিদ্ধান্তই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। 

  • বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে তাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।

  • আল্লাহর উপর যে আস্থা স্থাপন করে তার প্রতি আল্লাহ করুণাপরবশ এবং অনুগ্রহকারী।  


অনুধাবন::

  •  মহান আল্লাহ রাসুল (সঃ) এর প্রতি ‘আ’ফাল্লাহু আ’নকা (আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন।) সম্বেধন করে তারপর তিনি যে ভুল করেছেন তা উল্লেখ করেন। এখান থেকে আমরা একটি শিষ্টাচার শিখতে পাই। প্রত্যক্ষভাবে দোষ না ধরে আগে দোয়া করে সুন্দর করে ভুল চিহ্নিত করা  

  • আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যে অস্বীকার করে সে আল্লাহর কাছে ঘৃণ্য এবং ধিকৃত। 

  •  যুদ্ধের ময়দানে মুনাফিক থাকলে ক্ষতি ছাড়া মুসলমানদের আর কোন লাভ হত না। মুনাফেক চরিত্রের লোক অবশ্যই বর্জনীয়। 

  • মানুষের যদি সন্দেহ করার বাতিক থাকে তবে তা তার চিত্তের প্রশান্তি এবং চরিত্রের দৃঢ়তা নষ্ট করে দেয়। ঠান্ডা মাথায়, স্থির চিত্তে কোন কাজ করতে পারে না। মুনাফিকদের অবস্থা তাই। একজন মুমিনের ঈমান আছে এবং মানসিকভাবে দৃঢ়।  যে কোন কাজ করে ধীর, স্থির ভাবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে। সন্দেহ তাদের চিত্তের প্রশান্তি নষ্ট করতে পারে না। 

  • আল্লাহ ব্যতীত আর কারো উপর নির্ভর করা মুমিনদের জন্য অনুচিত। মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ কোন অকল্যাণ নির্ধারণ করতে পারেন না। 

  •  সালাতে শৈথিল্য ও অন্যমনস্কতা কাম্য নয়। 

  • মুনাফিকরা নিজেদের কূচিন্তার কারণে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে। 





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url