সূরা বাকারা । রুকু ২৫। হজ্জের কিছু বিধি-বিধান।

কুরআন পড়ুন, বুঝে পড়ুন

 নিহে জানুন, অন্যকে বলুন ।


দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু।

সূরা বাকারা। রুকু ২৫।
আয়াত ১৯৭-২১০
হজ্জের আরো কিছু বিধি-বিধান। 


আয়াত অনুযায়ী আলোচ্য বিষয়: 
১৯৭ নং আয়াত: হজ্জের নির্দিষ্ট সময়। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১৯৭) হজ্জ হয় সুনির্দিষ্ট মাসসমূহে। অতঃপর যে কেহ এই মাসগুলিতে হজ্জ করা স্থির করে তাহার জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ বিশেয় নহে। তোমরা উত্তম কাজের যাহা কিছু কর আল্লাহ তাহা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করিও, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • হজ্জের জন্য সুনির্দিষ্ট মাস আছে। 

মাসগুলো হচ্ছে শাওয়াল, যিলকদ  ও ‍যিলহজ্জের মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত। 

  • যে ব্যক্তি হজ্জ করবে সে এই সুবিদিত মাস কটিতে এহরাম বাঁধবে। 

  • সমগ্র হজ্বের মৌসুমে সে তিনটি কাজ থেকে বিরত থাকবে। 

  1. স্ত্রী-সম্ভোগ (রাফাছ)

  2. অন্যায় আচরণ (ফুসূক) 

  3. কলহ-বিবাদ  (জিদাল) 

  • ভালো বা সৎ কাজ করতে হবে কারণ আল্লাহ তা জানবেন। 

  • পাথেয় ছাড়া ((তাজাওয়াদু) হজ্জের উদ্দেশ্যে গমন করতে নিষেধ করেছেন।  

  • মোমেনদের হজ্জে যাবার জন্য শারিরীক এবং আত্মিক পাথেয় সংগ্রহ করতে  বলেছেন। 

  • তাকওয়া ও আল্লাহভীতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে আত্মা ও মনকে আলোকিত করার জন্য। 


১৯৮ ও ১৯৯  নং আয়াত: প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান এবং শ্রেণীবৈষম্যের মূলোৎপাটন। 

—---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১৯৮) তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নাই। যখন তোমরা ‘আরাফাত হইতে প্রত্যাবর্তন করিবে তখন মাশ’আরুল হারামের নিকট পৌঁছিয়া আল্লাহকে স্মরণ করিবে এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়াছেন ঠিক সেইভাবে স্মরণ করিবে; যদিও ইতিপূর্বে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভূক্ত ছিলে। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(১৯৯) অতঃপর অন্যান্য লোক যেখান হইতে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সেই স্থান হইতে প্রত্যাবর্তন করিবে। আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবে, নিশ্চয়িই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

—---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান’ কর’ - অর্থ্যাৎ হজ্জের মওসুমে বাণিজ্যিক লেনদেনে কোন দোষ নেই। 

  • আরাফাতে অবস্থান হজ্জের একটি প্রধান অংগ। 

  • আরাফা হতে দ্রুত প্রত্যাবর্তন (ইফাদা) করতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

  • মাশা’আরুল হারামের (মুজালিফার দুপাশের পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থান)   কাছে পৌঁছে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী স্মরণ করতে হবে। 

  • আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে।  

  • হজ্জ জাতি, বর্ণ, নির্বিশেষে সব ধরণের মুসলমানদের বড় সম্মেলন। এখানে সমবেত মানুষের মধ্যে ইসলামের বন্ধন ছাড়া আর কোন বন্ধন নেই। সবাইকে একই রকম আহকাম মেনে চলতে হয়। 

  • সব মানুষ যেখান থেকে যাত্রা করে হজ্জ করতে আসা সব মানুষকে সেখান থেকেই যাত্র শুরু করতে হবে। 


২০০, ২০১ ও ২০২ আয়াত: হজ্জের সমাপ্ত পর্ব। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০০) অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করিবে তখন আল্লাহকে এমনভাবে স্মরণ করিবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষগণকে স্মরণ করিতে, অথবা তদপেক্ষা অভিনিবেশ সহকারে । মানুষের মধ্যে যাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই দাও’, বস্তুত পরকালে তাহাদের জন্য কোন অংশ নাই। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০১) আর তাহাদের মধ্যে যাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা কর’ 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০১)তাহারা যাহা অর্জন করিয়াছে তাহার প্রাপ্য অংশ তাহাদেরই। বস্তুত আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • হজ্জের অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হবার পর আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। 

  • এই স্মরণ করাকে তুলনা করা হয়েছে জাহেলী যুগে কিছু লোক নিজেদের পিতৃ-পুরুষদের গৌরবগাঁথা বর্লনা করে কাটিয়ে দিত - তার সাথে। 

  • অর্থ্যাৎ আল্লাহকে স্মরণ করবে তাদের চেয়েও বেশী করে, একাগ্রতা সহকারে।

  • আবার কিছু লোক যেহেতু আখিরাতে বিশ্বাস করত না তারা শুধু ইহকালে কল্যাণ চাইত। 

  • মহান আল্লাহ পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছেন তাদের আখিরাতে কোন কল্যাণ নেই। 

  • আর একজন মুমিন  ‍দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানেই মঙ্গল কামনা করে।  

  • জাহান্নামের আগুন হতে আশ্রয় চায়। 

  • এরা অনেক সওয়াব পাবে। 

  • মনে রাখতে হবে আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। 

বি.দ্র: আমরা জানি মহান আল্লাহ দুইজন ফেরেশতা নিয়োগ করেছেন যাদের কাজ হচ্ছে কাজের হিসাব লিপিবদ্ধ করে রাখে। আল্লাহ এই সূরার ৯৫ নং আয়াতে এরশাদ করেছেন যে, আমাদের কাজের হিসাব মৃত্যুর বহু আগে তাঁর দরবারে জমা হয়। আমরা ভাল-মন্দ যে কাজই করি না কেন তার হিসাব দ্রুত আল্লাহর কাছে চলে যায়। 


২০৩ নং আয়াত: মীনাতে অবস্থান। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৩) তোমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনগুলিতে আল্লাহকে স্মরণ করিবে। যদি কেহ তাড়াতাড়ি করিয়া দুই দিনে চলিয়া আসে তবে তাহার কোন পাপ নাই, আর যদি কেহ বিলম্ব করে তবে তাহারও পাপ নাই। ইহা তাহার জন্য., যে তাকওয়া অবলম্বন করে। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জারিয়া রাখ যে, তোমাদেরকে অবশ্যই তাঁহার নিকট একত্র করা হইবে। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • ’নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনসমূহে’ - ১০ যিলহজ্জের পরে মীনাতে তিনদিন থেকে একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহকে স্মরণ ও গুণগান করতে বলা হয়েছে। 

  • হজ্জ্বযাত্রী দুই দিন না তিনদিন থাকবে তা ঐচ্ছিক। 


২০৪, ২০৫ ও ২০৬ নং আয়াত:  মুনাফিকদের বর্ণনা। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৪) আর মানুষের মথ্যে এমন ব্যক্তি আছে, পার্থিব জীবন সম্বন্ধে যাহার কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করে এবং তাহার অন্তরে যাহা আছে সে সম্বন্ধে আল্লাহকে সাক্ষী রাখে প্রকৃতপক্ষে সে ভীষণ কলহপ্রিয়।

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৫) যখন সে প্রস্থান করে তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির এবং শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু নিপাতের চেষ্টা করে। আর আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না। 

—-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৬) যকন তাহাকে বলা হয়, ‘তুমি আল্লাহকে ভয় কর’, তখন তাহার আত্মাভিমান তাহাকে পাপানুষ্ঠানে লিপ্ত করে, সুতরাং জাহান্নামই তাহার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয়ই উহা নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • এখানে (২০৪) আয়াতে  এমন এক ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে যারা মোনাফেক ।

  • তাদের কথা-বার্তা দিয়ে সাধারণ লোকদের তারা চমৎকৃত করে দেয়। 

  • মহান আল্লাহ এই তিনটি আয়োতে তাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। 

  1. এর মুখে মিষ্টি এবং অন্তরে বিষ ধারণ করে। 

  2. তারা যখন মোনাফেকী কথা-বার্তা বলে তখন আল্লাহকেই সাক্ষী রেখে প্রতিজ্ঞা করে।  

  3. তাদের চমৎকার কথা দিয়ে মানুষকে মোহবিষ্ট করে দেয়। মানুষ মনে করে তারা অত্যন্ত ন্যায়সয্গত ও যুক্তিসংগত কথা বলছে। 

  4. তারা কলহপিপ্রয় এবং মানুষের মধ্যে বিভেদ ঘটানো তাদের অন্যতম কাজ। এজন্য তারা  বিবাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করে এবং , হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ায়। 

  5. এদর উদ্দেশ্য হচ্ছে এরকম করে নিজ স্বার্থ হাসিল করা। 

  6.  এরা আল্লাহর অনুগ্রহ বঞ্চিত। 


২০৭ নং আয়াত: খাঁটি মুমিনের বর্ণনা। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৭) মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভার্থে আত্ম-বিক্রয় করিয়া থাকে। আল্লাহ তাঁহার বান্দাগণের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • খাঁটি মুমিনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে। 

  • প্রয়োজনে জীবন ত্যাগ করতেও দ্বিধা বোধ করে না। 

  • আল্লাহ এরূপ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। 


২০৮ ও ২০৯ নং আয়াত: সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ ।

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৮) হে মুুমিণগণ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২০৯) সুস্পষ্ট নিদর্শন তোমাদের নিকট আসিবার পর যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে তবে জানিয়া রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। একজন মুমিনের উচিত জীবনের সবল দিকে আল্লাহ যে নির্দেশ দিয়েছেন সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। 

  • আল্লাহর আদেশাবলী জানার পর যদি না মানে তবে তারই ক্ষতি হবে। 

  • শয়তানের পদাংক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। 

  • শয়তান প্রকাশ্য শত্রু কারন সে বিদআতমূলক কাযাবলীর দিকে উৎসাহিত করে।   

  • আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী । তাঁর পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়িত হনে। 


২১০ নং আয়াত: বিদাআতীদের সংশোধন

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(২১০) তাহারা শুধু ইহার প্রতীক্ষায় রহিয়াছে যে, আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ মেঘের ছায়ায় তাহাদের নিকট উপস্থিত হইবেন, তৎপর সব কিছুর মীমাংসা হইয়া যাইবে। সমস্ত বিষয় আল্লাহরই নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। 

—--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

  • মানুষের বিশ্বাসের যদি দৃঢ়তা না থাকে তখন তারা আল্লাহর হুকুম না মানার জন্য নানা অজুহাত খুঁজতে থাকে। 

  • আল্লাহ এই আয়াতে উদাহরণ দিয়েছেন বিশ্বাসে টলটলায়মান মুমিনরা মনে করে যে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ মেঘের ছায়ায় তাদের সামনে এসে উপস্থিত হবে। 

  • তাঁরা এসে সব বিষয়ের মীমাংসা করে দিবেন। 

  • অর্থ্যাৎ তারা তাদের মত করে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে চায়। 

  • আল্লাহ যে পথ দেখিয়েছেন সে পথ অনুসরণ করতে চায় না। 

  • স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। 



অনুধাবন: 


  •  মক্কা নগরী হচ্ছে হজ্জের সময় এবাদতের স্থান। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকে মুসলিমরা এসে এখানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এবাদত করে। হজ্জের সময় সব ধরণের বিবাদ-বিসংবাদ, হিংসা-দ্বেষ , অপরাধ, অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখতে হয়। যাতে পবিত্র পরিবেশ বজায় থাকে। 

  •  হজ্জ প্রতিবছর একবার সুনির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। 

  •  হজ্জের মত  ইবাদতের পাশাপাশি  জীবিকা অর্জনের মত বৈষয়িক বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সৎ ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায়।

  • অন্যভাবে বলা যায় সমাজ জীবনের প্রতিটি কাজ যদি সৎ, সমাজের জন্য উপকারী এবং আল্লাহর সন্তোষের জন্য হয় তবে তা আল্লাহর এবাদতের সমতুল্য। 

  • হজ্জ করার সময় ব্যক্তিগত পদ-পদবী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে না। সবাইর সঙ্গে মিলেমিশে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। 

  • সর্বক্ষণ আল্লাহকে স্মরণ এবং দোয়া চাইতে হবে। বিশেষ করে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি। 

  •  আল্লাহকে সত্যিকারের ভয় করলে আল্লাহ তাদের অনুগ্রহ করেন। 

  • এই রুকুতে ৩ ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে। ২০০ নং আয়াতে বলা হয়েছে এমন ধরণের লেকের কথা যারা শুধু ইহকালেই কল্যাণ চায়, ২য় ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে যারা ধূর্ত ও মোনাফেক(২০৪) এবং আরেক ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জীবন দিতে পারে। (২৯৭)

  • মোনাফেক ব্যক্তিদের চাকচিক্যময়  জীবন এবং মিষ্টি কথায় ভুলে শয়তানের পদাংক অনুসরণ করা যাবে না। তার কথা বলার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কারো সাথে যে কোন লেনদেনে জড়ানোর আগে তার ব্যক্তিগত জীবন পর্যালোচনা করে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে সে সমাজের জন্য কল্যাণ করছে না বিশৃংখলা ছড়াচ্ছে।  

  • আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ জানার পর যদি কেউ না মানে তবে ক্ষতি তারই হয়। মনে রাখতে হবে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী । তাঁর পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। 





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url