ইসলামিক উপদেশ মূলক বাণী/আল কুরআনের বাণী ২০২২
ইসলামিক উপদেশ মূলক বাণী বা আল কুরআনের বাণী সমূহ
আমরা জন্ম নিয়েছি পৃথিবীতে ক্ষনিকের জন্যে। জন্ম যখন নিয়েছি আমাদের বা প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যু অবধারিত। তাই আমাদের সকলকে ইসলামিক উপদেশ মেনে জীবন যাপন করা প্রয়োজন।
আমাদের সকলেরই জীবনে চলার পথে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বলে সেই বাধার সম্মুখীন হয়ে ভেঙ্গে পড়া যাবে না, মনকে অটুট রাখতে হবে। জীবনটা নিতান্তই ছোট। কখন মৃত্যুর ডাক আসবে কেউই বলতে পারে না। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইসলামি মনীষীগণ সমাজের দিকে লক্ষ্য রেখে ইসলামিক উক্তি বা ইসলামিক বানী প্রদান করছেন।
এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন যে
হে আমার বান্দাগণ তুমি আমার কাজের জন্য জামেলা মুক্ত হও ,আমি তোমার অন্তরকে জামেলা মুক্ত বানিয়ে দিবো এবং দরিদ্র তাও দূর করিয়া দিবো।
আর যদি না করো তাহলে তোমার অন্তরকে শত শত পেরেশানি দিয়ে বর্তী কোরিয়া দিবো দরিদ্রতাও দূর করিবোনা ( হাদিসে কুদসী )
ইসলামিক উপদেশ মূলক বাণী
১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:৪২]
২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা ২:৪৪]
৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:৬০]
৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:১১৪]
৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭০]
৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭]
৭। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা ২:১৮৮]
৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা ২:১৯০]
৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১]
১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০]
১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২]
১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩]
১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা ২:২৪৭]
১৪। দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা ২:২৫৬]
১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪]
১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩]
১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫]
১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০]
১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২]
২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]
২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]
২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫]
২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬]
২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩]
২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪]
২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯]
২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১]
২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫]
২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭]
৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭]
৩১। অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০]
৩২। যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৩]
৩৩। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৯]
৩৪। পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা ৪:৩৪]
৩৫। অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা ৪:৩৬]
৩৬। কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা ৪:৩৭]
৩৭। বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা ৪:৫৪]
৩৮। মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা ৪:৫৮]
৩৯। একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা ৪:৯২]
৪০। বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]
৪১। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা ৪:১৩৫]
৪২। সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা ৫:২]
৪৩। সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা ৫:২]
৪৪। মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা ৫:৩]
৪৫। সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা ৫:৮]
৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা ৫:৩৮]
৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা ৫:৬৩]
৪৮। মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
৪৯। জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
৫০। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা ৫:১০৮]
৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম ৬:১১৬]
৫২। মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম ৬:১৫২]
৫৩। অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]
৫৪। পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]
৫৫। সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]
৫৬। অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ ৭:১৯৯]
৫৭। যুদ্ধে পশ্চাদ্মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল ৮:১৫]
৫৮। যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা ৯:৬]
৫৯। পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা ৯:১০৮]
৬০। আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ ১২:৮৭]
৬১। যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্ল ১৬:১১৯]
৬২। প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্ল ১৬:১১৯]
৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা ১৭:১৫]
৬৪। পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]
৬৫। পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]
৬৬। অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৯]
৬৭। দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩১]
৬৮। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩২]
৬৯। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩৬]
৭০। শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা ২০:৪৪]
৭১। অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন ২৩:৩]
৭২। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:২৭]
৭৩। যারা শুধু আল্লাহ্ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর ২৪:৫৫]
৭৪। বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:৫৮]
৭৫। বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান ২৫:৬৩]
৭৬। এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস ২৮:৭৭]
৭৭। আল্লাহ্র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস ২৮:৮৮]
৭৮। সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্কাবুত ২৯:২৯]
৭৯। সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান ৩১:১৭]
৮০। দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান ৩১:১৮]
৮১। কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান ৩১:১৯]
৮২। সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় কিন্তু তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। হযরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
৮৩। আল্লাহর ভয় মানুষকে সকল ভয় হতে মুক্তি দেয় । [ ইবনে সিনা ]
৮৪। সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে । [ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ]
৮৫। পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক। [ হযরত আলী (রাঃ) ]
৮৬। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিবেন না। কেননা কাজগুলো জমা হয়ে যাবে এবং আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না। [ হযরত উমার (রা) ]
৮৭। আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না। [ উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ) ]
৮৮। সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। [ আল হাদিস ]
৮৯। এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে। [ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ) (সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১) ]
৯০। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না তা অন্যকে উপদেশ দিও না। [ হযরত আলী (রাঃ) ]
৯১। কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত। [ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)]
৯২। আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না। [ শেখ সাদী ]